সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে জোর পূর্বক অন্যের জমি জবর দখল করতে বেকু দিয়ে নির্মাণাধীন দোকান ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ আলহাজ¦ আ: মমিন ভূঁইয়া, তার মেয়ে মোসা: রেহেনা বেগম ও মেয়ের জামাই হারুন গংদের বিরুদ্ধে। রবিবার (২৭ এপ্র্রিল) বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সানারপাড় মাহিন লেভেল ফ্যাক্টরী সংলগ্ন এলাকায় মুরশিদ আলী গংয়ের পৈত্রিক জমিতে এ ভাংচুরের ঘটনাটি ঘটে।
ভুক্তভোগী মুরশিদ আলী জানান, খোর্দ্দ ঘোষপাড়া মৌজায় আরএস দাগ-৪১১, এসএ-৩০৬ ও সিএস-৩০৯ নং দাগে পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে আমরা ৪ শতাংশ জমির মালিক হয়ে ভোগ দখলে রয়েছি। আমার দাদার ৩ ছেলে নূরুল হক, মিরাজ উদ্দিন ও আয়নাল হক। তারা কেউ বেঁচে নেই। আমার বাপ-চাচাদের ওয়ারিশ হিসেবে আমি মুরশিদ আলী ও হাবিবুর রহমান নূরুল হকের ছেলে, আনোয়ার হোসেন আমার চাচা মিরাজ উদ্দিনের ছেলে এবং দেলোয়ার হোসেন আমার আরেক চাচা আয়নাল হকের ছেলে। ইতিপূর্বে এখানে আমাদের আরো অনেক জমি ছিল। অধিকাংশ জমি আমার বাপ-চাচারা বিক্রি করে দেওয়ায় ৪ শতাংশ জমি অবশিষ্ট রয়েছে। জমিটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে হওয়ায় বাজার মূল্য অনেক বেশী। ফলে এই জমিটি কব্জায় নেয়ার জন্য পায়তারা শুরু করে পাশের জমির মালিক আলহাজ¦ আ: মমিন ভূঁইয়া গং।
ভুক্তভোগী মুরশিদ আরো জানায়, ৪ শতাংশ জমির মধ্যে ২ শতাংশ জমি আমাদের পাশের জমির মালিক আলহাজ¦ আ: মমিন ভূঁইয়ার জমির সামনে। আর বাকি দুই শতাংশ জমি অন্য পাশে। মমিন ভুঁইয়ার সম্পত্তিটিও আমার বাপ-চাচাদের কাছ থেকে ক্রয় করেছিলেন। মমিন ভূঁইয়ার জমির সামনের দুই শতাংশ জমির মধ্যে আমরা কয়েকটি পাকা দোকান নির্মাণ করছিলাম। গতকাল আমাদের লেবাররা কাজ শেষে চলে যাওয়ার পর মমিন ভূঁইয়ার মেয়ের জামাই হারুন বেকু নিয়ে এসে আমাদের নির্মাণাধীন দোকান গুলো ভেঙ্গে ফেলে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসার আগেই তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রস্তুতি নিচ্ছি।
ভাংচুরের বিষয়ে মমিন ভূঁইয়ার মেয়ের জামাই হারুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা কোন স্থাপনা ভাংচুর করিনি, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করেছে।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম জানায়, গতকাল সড়ক ও জনপথের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। যদি তাদের নিজস্ব জায়গা হয়ে থাকে তাহলে কাগজপত্র নিয়ে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।