ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কৃষ্ণপুরা গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাং এর হামলায় আরিফ নামের এক যুবক গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়েছে। এঘটনায় আহত আরিফের স্ত্রী মিতু সোনারগা থানায় আলিফগংদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,উক্ত আসামীগণ অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িত। তাহারা সোনারগাঁ থানাধীন বাড়ী শ্রীরামপুর সাকিনস্থ আমার পিত্রালয়ে একটি মাচা তৈরি করিয়া প্রায় সময় আড্ডা দেয় । আসামীদের তৈরি করা মাচা গত ৭ এপ্রিল আমার বাবা মোঃ মিন্টু মিয়া ভাঙ্গিয়া ফেলার পর হইতে আসামীরা আমার স্বামী মোঃ আরিফ (২২) কে খুন জখমের হুমকি দিয়া আসতেছিল। উক্ত বিরোধের জেরে ৮ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সময় কৃষ্ণপুরা গ্রামের মোতালেবের ছেলে আলিফ,মনোয়ার হোসেন ওরফে মনার ছেলে জিহাদ,মনিরের ছেলে তানভীর,তোফাজ্জলের ছেলে মাহবুব,মাহিনসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন উল্লেখিত আসামি আসামী দা, চাপাতি, ছুরি,রড,এস এস পাইপ,লাঠি সোটা ইত্যাদি দেশীয়, অস্ত্র সস্ত্র সজ্জিত হয়ে সোনারগাঁও থানাধীন বাড়ী শ্রীরামপুর সাকিনস্থ আমারদের বসত বাড়ীর সামনে চকে আমার স্বামী মোঃ আরিফ এর কে পথরোধ করিয়া আসামীরা তাহাকে এলোভাতারিভাবে কিল,ঘুষি মারিয়া, রড ও এস এস পাইপ ও লাঠি দিয়া পিটাইয়া তাহার শরীরের বিভিন্ন স্হানে নীলা -ফুলা জখম করে। একপর্যায়ে আসামী মোঃ আলিফ আমার স্বামীকে হত্যা করার উদ্দেশ্য তাহার হাতে থাকা চাপাতি দিয়া কোপ মারিয়া মাথায় গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। আসামী মোঃ জিহাদ তাহার হাতে থাকা দা দিয়া কোপ মারিয়া আমার স্বামীর ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল কাটিয়া কাটা রক্তাক্ত জখম করে। আসামী মোঃ তানভীর তাহার হাতে থাকা লোহার রড দিয়া বারী মারিয়া আমার স্বামীর বাম হাতের বৃদ্ধঙ্গুল ভাঙ্গিয়া গুরুতর জখম করে এবং আসামী মোঃ মাহাবুব এস এস পাইপ দিয়া পিটাইয়া আমার স্বামীর পিঠে রক্তাক্ত জখম করে। আমার স্বামী মোঃ আরিফ গুরুতর জখম অবস্থায় মাটিতে লুটাইয়া পরিয়া গেলে, আসামী মোঃ মাহিন আমার স্বামীর প্যান্টের ডান পকেট হইতে নগদ – ৩৫,০০০/- টাকা নিয়া যায়। আমার স্বামীর ডাক- চিৎকারে আশেপাশের লোক জন আগাইয়া আসিতে থাকিলে উক্ত বিষয়ে আইনের আশ্রয় নিলে, আসামীরা আমার স্বামীকে সুযোগ মত পাইলে খুন করিয়া ফেলিবে বলিয়া হুমকি দিয়া চলিয়া যায়। সংবাদ পাইয়া আমি সহ আমার আত্মীয় স্বজন দের সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি আমার স্বামীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করিয়া তাহাকে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া গেলে, তাহার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাহাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। পরবর্তীতে আমার স্বামীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া ভর্তি করা হয়।