শেখ মুজিবুর রহমান যখন কারাগারে বন্দি ছিলেন, তখন মুক্তিযুদ্ধে রাজনৈতিক নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, মো. মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামান।
ওইসময় ভারতের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিকভাবে জনমত তৈরি করা, সবকিছুতেই তারা সম্মুখ সারিতে ছিলেন।
শেখ মুজিবুর রহমান তখন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী থাকা সত্ত্বেও তাকেই রাষ্ট্রপতি করে প্রবাসী সরকার গঠন করেছিলেন ওই নেতারা।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন গঠিত অস্থায়ী সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হন সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং তাজউদ্দীন আহমেদকে করা হয় প্রধানমন্ত্রী। সেই ক্রান্তিকালে মনসুর আলী ছিলেন প্রবাসী সরকারের অর্থমন্ত্রী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামান ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তারা যদি সেসময় ওই গুরু দায়িত্ব পালন না করতেন, তাহলে মুক্তিযুদ্ধ সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হত না। কিংবা, নয় মাসের মাঝে যুদ্ধ শেষও হতো না।
সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় এত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার পরও এরা যেন সবসময়ই আড়ালে ঢাকা পড়ে ছিলেন।
তাদের পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে ইতিহাসবিদ, সবার অভিযোগ যে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে এই চার নেতাকে ‘সঠিক মূল্যায়ন’ করা হয়নি। বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন।
বারবার কেন এই কথাটি সামনে আসে?
মূল্যায়ন বলতে এখানে আসলে কী বোঝানো হচ্ছে? কার মূল্যায়ন করা উচিত ছিলো? এই মূল্যায়ন কী ধরনের হতে পারতো?
‘প্রবাসী সরকারের স্তম্ভ চার জন না, ছয় জন’
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ইতিহাস নিয়ে একাধিক বই লিখেছেন লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ।
এই প্রসঙ্গে বিবিসি বাংলাকে মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, মুজিবনগর সরকারের স্তম্ভ চার জন না, ছিলেন ছয় জন।
তৎকালীন পররাষ্ট্র মন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমেদ ও মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি কর্নেল এম এ জি ওসমানী, এই দু’জনের নাম এই তালিকায় যুক্ত করেন তিনি।
এই লেখকের মতে, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে ফিরে আসার পর তারা প্রত্যেকে শেখ মুজিবের ছায়ায় ঢাকা পড়ে গেলেন। এটা তো আওয়ামী লীগের সরকার ছিল এবং শেখ মুজিব ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রধান নেতা। এরকম একটি ধারণা তৈরি করানো হলো যে তিনিই দেশ স্বাধীন করেছেন। অন্যদের ভূমিকা চাপা পড়ে গেল।
১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্ট শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে হত্যা হলেন এবং শেখ মুজিব সরকারের পতন হল।
‘তারপর খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে সরকার গঠন হলো। তখন আওয়ামী লীগের বলয়ে খন্দকার মোশতাক হয়ে গেলেন ভিলেন… সেসময় ওই সরকারের সরকারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন এমএজি ওসমানী। তখন থেকে এই দুইজন ওই বয়ান থেকে বাদ পড়ে গেলেন।
খন্দকার মোশতাক এবং এম এ জি ওসমানী’র কথা আপাতত এই আলোচনা থেকে বাদ দিলে বাকি যে চার নেতা, শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব যখন অনেকটা দিশেহারা, তখন তাদেরকে বন্দী করা হয়।
শেখ মুজিব হত্যার প্রায় আড়াই মাস পর, ১৯৭৫ সালের তেসরা নভেম্বর ওই চারজনকেও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয়।
পরবর্তীতে, দল হিসাবে আওয়ামী লীগ ওই দিনটিকে জেল হত্যা দিবস পালন করে আসছে।
প্রবাসী সরকার প্রসঙ্গে শেখ মুজিব উদাসীন ছিলেন?
লেখক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে ফিরে এসে শেখ মুজিব “কোনোদিন জানতে চান নাই যে এই নয় মাস তারা (প্রবাসী সরকার) কী করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছেন।”
শেখ মুজিব তার শাসনামলের সাড়ে তিন বছরে “মুজিবনগরের ওই জায়গাটা কখনও দেখতেও যাননি” এবং “কলকাতার আট নম্বর থিয়েটার রোডে ছিল বাংলাদেশ সরকারের সদর দপ্তর। সেখানে সৈয়দ নজরুল ইসয়াম, তাজউদ্দীন থাকতেন। তিনি যখন কলকাতায় গিয়েছিলেন, সেই বাড়িটিও তিনি কখনও দেখতে যান নাই। অর্থাৎ এই প্রবাসী সরকারের ব্যাপারটা শেখ মুজিব কখন অনুমোদন করেন নাই।”
শেখ মুজিবুর রহমানের এইসব পদক্ষেপ থেকে “বোঝা যায় যে তিনি এই অপশনটা পছন্দ করেন নাই।”
লেখক মহিউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ১৯৭২ সাল থেকে আওয়ামী লীগের এই চার নেতা “ধীরে ধীরে আড়ালে চলে গেলেন। আমরা দেখলাম, চার নেতার মাঝে একটা সময় তাজউদ্দীন আহমেদ ব্রাত্য হয়ে গেলেন।”
১৯৭৪ সালে শেখ মুজিব সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে তাজউদ্দীন আহমেদকে “বিদায় করে দেওয়া হল। বাকি তিনজন শেখ মুজিবের খুব অনুগত ছিলেন, সেই কারণে টিকে গেলেন,” বলছিলেন এই বিশ্লেষক।
চার নেতার প্রতি শেখ মুজিবুর রহমানের এ ধরনের উদাসীনতা বা অবহেলা’র বিষয়টি উঠে আসে তাজউদ্দীন আহমেদের কন্যা শারমিন আহমেদের বক্তব্যেও।
তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, “বঙ্গবন্ধু তখন পাকিস্তান কারাগারে অন্তরীণ। যুদ্ধের সাথে ওনার সরাসরি সম্পৃক্ততা ছিল না, উনি তো আত্মসমর্পণ করে চলে গেলেন। যদিও ওনার সিম্বলটা মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক কাজে লেগেছিলো। ফলে লিডারশিপের দায়িত্ব পড়লো তাজউদ্দীন আহমেদের কাঁধে।”
“তারা বিপ্লবী চেতনা ধারণ করে যে দক্ষতার সাথে সরকার গঠন করলেন…কিন্তু বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে মুক্তিযুদ্ধের কথা একবারও জানতে চাইলেন না,” বলছিলেন শারমীন আহমেদ।
তার মতে, শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকাকালীন তিনি চার নেতাকে এক পাশে সরিয়ে রেখেছিলেন। ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে দল হিসাবে আওয়ামী লীগও তাদেরকে অবমূল্যায়ন করেছে।
লেখক মহিউদ্দিন আহমদও বলেন, বরাবরই “আওয়ামী লীগ শেখ মুজিবময় ছিল, এর বাইরে আর কিছু চিন্তা করতো না। তাই তারা এই চার নেতাকে নিয়ে কখনোই মাথা ঘামায়নি। তাদেরকে নিয়ে আওয়ামী লীগের মাঝে কখনোই (‘৭৫ পরবর্তী সময়েও) কোনও উচ্ছ্বাস-আবেগ দেখা যায়নি।”
আওয়ামী লীগ ও চার নেতার পরিবার
বারবার যেহেতু এখানে অবহেলা, উদাসীনতা বা অবমূল্যায়নের কথা আসছে, সেখানে স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্ন উঠছে যে চার নেতাকে কী ধরনের মূল্যায়ন করা যেতে পারতো।
মূল্যায়ন মানে কী আসলে?
১৯৭৫ পরবর্তী সময়ের দিকে তাকালে দেখা যায় যে, তাজউদ্দীন আহমেদের ছেলে তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ একসময় আওয়ামী লীগের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তাজউদ্দীন আহমেদের স্ত্রী সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীনও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।
সোহেল তাজ পদত্যাগ করার পরে তাজউদ্দীন আহমেদের আরেক সন্তান সিমিন হোসেন রিমি ওই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এক সময়ের মন্ত্রী ছিলেন, ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদকও।
এ এইচ এম কামরুজ্জামানের বড় ছেলে এ এইচ এম খাইরুজ্জামান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র।
মো. মনসুর আলীর বড় ছেলে মোহাম্মদ নাসিম আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী ছিলেন। ছোট ছেলে মোহাম্মদ সেলিমও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ ছিলেন।
সুতরাং, এখানে দেখা যাচ্ছে যে আওয়ামী লীগের দীর্ঘ রাজনীতির ইতিহাসে জাতীয় চার নেতার পরিবারের সদস্যরা কোনও না কোনোভাবে জড়িয়ে আছে।
তারপরও কেন চার নেতাকে অবমূল্যায়নের কথা আসে?
লেখক মহিউদ্দিন আহমদ এ বিষয়ে বলেন, তাদেরকে (চার নেতাকে) মূল্যায়ন করা হয় না। এখানে যেটা হয়েছে, একজনের ছেলেকে মেয়র করেছে, একজনের ছেলেকে এমপি করেছে, একজনের ছেলেকে প্রতিমন্ত্রী করেছে, একজনের ছেলেকে মন্ত্রী করেছে। কিন্তু এগুলো হল সান্ত্বনা পুরস্কারের মতো। তারা তো এটা দল করেই হয়েছে। এই নেতাদের সন্তান না হয়েও তো অনেকে মন্ত্রী হয়েছেন। তাই না? কাজেই, তাদেরকে এখানে খুব বেশি ফেভার করা হয়েছে বলে আমি মনে করি না।
এ বিষয়ে তাজউদ্দীন আহমেদের মেয়ে শারমীন আহমেদ কথা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেন,“ধরেন, ভাসানী পরিবার ক্ষমতার ভাগীদার হল। কিন্তু ভাসানীর নাম উঠিয়ে দেওয়া হল। তাতে কি ইতিহাসের প্রতি বা ভাসানীর মতো একজন মহান নেতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হল?”
“তেমনি, (আওয়ামী লীগ) তাদেরকে (চার নেতার পরিবারের সদস্যদেরকে) সরকারি পদ দিয়েছে, কিন্তু নেতারা স্বীকৃতি তো পাননি। সুতরাং, তাদের অবমূল্যায়ন অবশ্যই হয়েছে।”
যেসব কারণে অবমূল্যায়নের প্রসঙ্গ আসে
লেখক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন যে, বাংলাদেশ নির্মাণে চার নেতা যে একেকটা স্তম্ভ ছিল, তাদের যে অবদান ছিল, আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পরেও সরকারি বয়ানে এরকম স্বীকৃতি ছিল না। আওয়ামী তাদেরকে দল ও সরকার হিসাবে ওই মর্যাদা দেয়নি।
সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা একসময় “ফাউন্ডিং ফাদারস” শব্দটি বলে “খুব বিপদে পড়েছিলেন” উল্লেখ করে মহিউদ্দিন আহমদ বলেন “প্রবাসী সরকারের সঙ্গে যারা ছিলেন, শেখ মুজিবসহ সবাইকেই যদি আমরা ফাউন্ডিং ফাদার ধরে নিই, তাহলে সবাইকেই তো সেই যথাযথ মর্যাদা দিতে হয়।”
ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে আপিলের রায়ের পর্যবেক্ষণে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা কোন একক ব্যক্তির কারণে হয় নাই’ বলে মন্তব্য করার পর আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন।
লেখক মহিউদ্দিন আহমদ উদাহরণ হিসাবে বলেন, “আমাদের যে কারেন্সি নোট ছাপা হয়, প্রতিটাতেই একজনের ছবি। একেকটাতে একেকজনের ছবি থাকলে তো কোনও সমস্যা ছিল না।”
তার মতে, স্থাপনা বা টাকায় নাম দেওয়াটা বড় কথা না। “কথা হচ্ছে, ইতিহাসের যে বয়ান তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ, সেখানে শেখ হাসিনা একটা কথা বারবার বলতেন যে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়েছেন। তিনিই যদি স্বাধীনতা দেন, তাহলে অন্যরা কী করেছে?”
“অথচ বয়ানটা এমন হতে পারতো যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার আন্দোলন হয়েছিলো, সেই আন্দোলনের নেতা ছিলেন শেখ মুজিব, কিন্তু সেখানে আরও নেতা ছিলেন – এটি একটি যুথবদ্ধ প্রচেষ্টা।”
তিনি আরও বলেন যে আওয়ামী লীগের ভাষ্যে শেখ মুজিব ছাড়া কেউ নাই।
“এটা অনেকটা এরকম যে তার কোনও শরিক নাই। তিনিই সার্বভৌম। এটাও এক ধরনের ফ্যাসিস্ট চিন্তা।”
তাজউদ্দীন আহমেদের পরিবারের সদস্যরা বরাবরই সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার কথা বলেছেন।
মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের মেয়ে শারমীন আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, “শুধু নাম প্রতিষ্ঠিত করে না; প্রত্যেকের জীবনী, আলাদাভাবে তাদের অবদান পাঠ্যসূচির সর্বস্তরে অন্তর্ভুক্ত করা” যেতে পারতো।
অথচ তাদের কাহিনীগুলো “পাঠ্যসূচি বা ন্যাশনাল ডিসকাশন”, কোথাও নাই। তিনি রাষ্ট্রীয়ভাবে জেল হত্যা দিবস পালনের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন।
“তেসরা নভেম্বর, তাদেরকে বিনা বিচারে জেলে হত্যা করা হল। সেটিকে রাষ্ট্রীয় দিবস হিসাবে পালন করতে হবে। সেদিন সরকারি ছুটির কোনও দরকার নাই, কালো শাড়ি পরার দরকার নাই। এটিকে জাস্ট রাষ্ট্রীয় দিবস হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া। তাদের নিয়ে আলোচনা করা দরকার।”
“নয়তো শিক্ষার্থীরা সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে না” উল্লেখ করে তিনি ২০১৯ সালের একটি সমীক্ষার ব্যাপারে বলেন, “সেই সমীক্ষায় মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞেস করা হল, চার জাতীয় নেতা কে? শিক্ষার্থীরা বললো– খালেদা জিয়া, শেখ হাসিনা, শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান।”
কয়েক বছর আগে বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সোহেল তাজও এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “আমরা জানি যে ১২ বছর আগে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল না, যারা ক্ষমতায় ছিল তারা হয়ত চায়নি, কিন্তু বিগত ১২ বছর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায়। জেল হত্যা দিবস এখনও পর্যন্ত কেন রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হল না – আমার আসলে তা বোধগম্য হয় না।”
বিবিসি বাংলা