ষ্টাফ রিপোর্টার:
মো.সেলিম যিনি নামধারী একজন ট্রেড ইউনিয়ন শ্রমিক নেতা হিসেবে সর্বজনে পরিচিত। নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ এলাকার বাসিন্দা সেলিম মুলত একজন পেশাদার চাদাঁবাজ।
ব্যাপক তথ্যানুসন্ধানে জানা যায় যে, নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাবেক সাংসদ গডফাদার শামীম ওসমানের আস্থাভাজন হিসেবেই তিনি পুরো শহর ও শহরতলীতে চাদাঁবাজি করতেন উন্মুক্তভাবে। সমালোচিত এ চাদাঁবাজ সেলিম শামীম ওসমানের বলয়ে থেকে সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগ নেতা কমিটির সহ-সভাপতি,মিনিবাস,মাইক্রোবাস,সিএনজিসহ সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন পরিবহনে শ্রমিকলীগের পরিচয়ে এবং পরিবহন সেক্টরের বিভিন্নস্থানে কমিটি দিয়ে চাদাঁবাজিতে মত্ত হয়ে উঠেছিলেন। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন পরিবহন থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা চাদাঁবাজি করতেন বলে জানা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক পরিবহন মালিক জানান,৫ আগষ্টে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর তার পথ অনুসরন করে গডফাদার শামীম ওসমানও স্বপরিবারের চোরের মত দেশ ত্যাগ করে। বিগত সময়গুলোতে শামীম ওসমানের এ প্রেতাত্মা চাদাঁবাজ সেলিম ছিলো আমাদের কাছে আতংকের একটি নাম। প্রতিদিনই সে শামীম ওসমান তার ছেলে অয়ন ওসমান ও ভাতিজা আজমেরী ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে আমাদের মালিকদের কাছ থেকে চাদাঁ আদায় করতো। যদি কোন মালিক কোন দিন চাদাঁ দিতে না পারতো তাহলে পরের দিন তার গাড়ির চাকা ঘুরতে দিতোনা এ সেলিম। আমরা গাড়ির মালিকরা লক্ষ লক্ষ টাকা পুজি খাটিয়ে দৈনিক ২ হাজার টাকা নিতে কষ্টকর হতো। অথচ বিভিন্ন শ্রমিকলীগের সংগঠনের নাম ব্যবহার কওে লাখ টাকা চাদাঁবাজি করতো এ সেলিম। ধুর্ত সেলিম বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শীর্ষ নেতাদের সাথে ছবি তুলে তা ফেসবুকে আপলোড করেও আমাদেরকে ভীতি দেখাতেন। তারা আরও বলেন, ৫ আগষ্টের পর এখনও পর্যন্ত চাদাঁবাজি অপতৎপরতা চালু রেখেছে এ সেলিম।
আমরা সকল মালিকরা চাই শামীম ওসমানের প্রেতাত্মা আলোচিত চাদাঁবাজ সেলিমগং এর কবল থেকে আমাদের সাধারন মালিকদেরকে রক্ষা করা হোক। আমরা জেলা পুলিশ,র্যাব-১১ এবং সেনাবাহিনীর সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি দ্রুত যেন চাদাঁবাজ সেলিমকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নেয়া হয়।