ষ্টাফ রির্পোটার
আমি চাঁদাবাজদের দাবীকৃত ২ লাখ টাকা প্রদান না করায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছে বলে গনমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত মেম্বার সেকান্দর আলী। এ বিষয়ে চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছেন।
থানায় অভিযোগে সেকান্দর আলী (ইউপি সদস্য- ৮নং ওয়ার্ড, বক্তাবলী ইউনিয়ন), পিতা মৃত তৈয়ব আলী, সাং- প্রসন্ননগর, বক্তাবলী, থানা: ফতুল্লা, জেলা নারায়ণগঞ্জ উল্লেখ করেন,বিবাদী মোঃ কামরুল (৪৫), পিতা মৃত বাছেদ মিয়া, সাং- নন্দলালপুর, মাসুম পিতা সিরাজ হেকিম, সাং- দেলপাড়া কলেজ রোড, শামীম পিতাঃ মোঃ শহিদ, সাইফুল পিতা দিল মোহাম্মদ দিলু ফকির,আসিফ পিতা ইস্রাফিল, রাতুলপিতা: নূরমদ্দিন, আরিফ, পিতা মৃত ইদ্রিস, সর্ব সাং- নন্দলালপুর, থানা: ফতুল্লা, জেলা। নারায়ণগঞ্জ সহ ১নং বিবাদীর সহযোগী সাংবাদিক পরিচয়দানকারী অজ্ঞাতনামা মহিলা সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন বিবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করিতেছি যে, উল্লেখিত ১নং বিবাদী আমার পূর্ব পরিচিত। সে বিভিন্ন সময়ে আমার নিকটে অযৌক্তিকভাবে টাকা-পয়সা দাবী দাওয়া করতো। আমি তাহার কথায় রাজী না হওয়ায় উল্লেখিত ১নং বিবাদী আমাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি ও হুমকি ধামকি প্রদান করতো। সর্বশেষ গত ১৭/১২/২০২৪ইং তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ০৭:০০ ঘটিকার সময় আমি আমার ভাবি- শাহিনুর, স্বামী: মৃত আমিন উদ্দিন গাজী, সাং- নন্দলালপুর, থানা: ফতুল্লা, জেলা: নারায়ণগঞ্জকে সাথে নিয়া আমার বক্তাবলি স্থিত বাড়িতে যাওয়ার সময় আমার ভাবির নন্দলালপুরের বাসার সামনে ডেউয়াতলা মোড়ে পৌছাইলে ১নং বিবাদীর নেতৃত্বে অপরাপর সকল বিবাদী আমার গতিরোধ করিয়া আমাকে আটকাইয়া পূর্ব শত্রুতার জের ধরিয়া এলোপাথারীভাবে কিল, ঘুষি মারিয়া আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফোলা জখম করে। ১নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়া আমার কপালে ঘাই মারিয়া রক্তাক্ত জখম করে। ২, ৩,৫ ও ৬নং বিবাদীরা তাহাদের হাতে থাকা লোহার রড, পাইপ সহ বিভিন্ন লাঠি সোঠা দিয়া আমাকে এলোপাথারীভাবে আঘাত করিয়া আমার চোখ ও মুখমন্ডলসহ আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফোলা জখম করে। ৪ ও ৭নং বিবাদীরা সহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা আমাকে এলোপাথারীভাবে কিল, ঘুষি আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে। নীলাফোলা জখম করে। এসময় বিবাদীরা আমার নিকটে অযৌক্তিকভাবে ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা দাবী করে। আমি তাদের দাবীকৃত টাকা না দেওয়ায় ১নং বিবাদী (১) আমার পরিহিত প্যান্টের ডান পকেটে থাকা আমার ব্যবসার ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা, (২) আমার গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের মোটা স্বর্ণের চেইন, (৩) ১টি OPPO A95 এবং ১টি Redmi Note 13 মোবাইলদ্বয়ের মূল্য- ৫০,০০০/- টাকা নিয়া যায় এবং আমাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি ও হুমকি ধামকি দেয়। এসময় আমার ডাক-চিৎকারে স্থানীয় লোকজন আমাকে ঘটনাস্থল হইতে উদ্ধার পূর্বক আমার ভাই ও ভাবির বাড়িতে পৌছাইয়া দেয়। বর্ণিত ঘটনার বিষয়ে আমি ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করিবো মর্মে সংবাদ পাইয়া উল্লেখিত বিবাদীর আমার ভাই ও ভাবির বাড়িতে যাইয়া আমাকে পুনরায় আটক করিয়া সকল বিবাদীরা আমাকে পুনরায় মারধর করে এবং কয়েকটি মাদকের বোতল আনিয়া আমার হাতে দিয়া ছবি তোলে এবং আমার ভাবি ও ভাবির বোনদেরকে আমার পাশে রাখিয়া ছবি তুলিয়া উক্ত ছবি অশ্লীলভাবে এডিট করিয়া অনলাইনে ছাড়িয়া দেওয়ার হুমকি দেয় এবং গত ১৭/১২/২০২৪ইং তারিখ রাত ০৯:০০ ঘটিকা হইতে গত ১৯/১২/২০২৪ইং তারিখ ভোর আনুমানিক ০৪:০০ ঘটিকার ঘটিকা পর্যন্ত আমাদেরকে তালাবদ্ধ করিয়া রাখে এবং আমার নিকটে অযৌক্তিকভাবে তাহাদের পূর্বের দাবীকৃত ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা চাহিতে থাকে। একপর্যায়ে তাহারা আমার নিকটে ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা নেওয়ার স্বীকারোক্তি নিয়া আমাকে ছাড়িয়া দেয়। এরপর আমি গত ১৯/১২/২০২৪ইং তারিখে ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট খানপুর সরকারি হাসপাতালে গিয়া চিকিৎসা গ্রহণ করি। এরপর হইতে বিবাদীরা তাহাদের অযৌক্তি দাবীকৃত ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা নেওয়ার জন্য প্রতিনিয়তই আমার ভাই ও ভাবির বাড়িতে আসিয়া টাকা চাহিতে থাকে। তাহাদের
দাবীকৃত টাকা না দিলে, পরবর্তীতে আমার ভাবি ও ভাতিজা-ভাতিজিদেরকে এবং আমাকেও খুন-জখম করার হুমকি দিতে থাকে।
উল্লেখিত ঘটনার যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।