প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ জরুরি
বন্দর প্রতিনিধি // বন্দরের নাসিক ২৩ নং ওর্য়াডস্থ কবরস্থান রোডস্থ বায়তুল আমান জামে মসজিদ নিয়ে বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মসজিদের সম্পত্তি ওয়াফকা না নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত সভাপতির পদ কুক্ষিগত করে রেখেছে। বায়তুল আমান জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি চাঁন মিয়া। যার নামের আগে ও পেছনে রয়েছে নানা টাইটেল। ভূমি, বালু, টাওয়ার দস্যুখ্যাত চাঁন মিয়া নানা কৌশলে সভাপতির পদ কুক্ষিগত করে রেখেছে। যার ফলসূতিতে মসজিদের লাশ ঘর ৭০ হাজার টাকা বিক্রি করলেও ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায় কবির ওরফে গরু কবির। ৫০ হাজার টাকা সভাপতির কাছে। মসজিদ -কবরস্থানের পাশ দিয়ে এলাকাবাসীর জন্য রাস্তা করার জন্য ঘর প্রতি ৫ হাজার করে টাকা নেয়। অথচ তার প্রায় ১শ’ শতাংশ জমি প্লট আকারে বিক্রির জন্য রাস্তা করে বলে ভুক্তভোগীরা জানান। ভূমিদস্যু, বালু, ডেজার, টাওয়ার চাঁন মিয়ার ও প্রদীপ বিষয় নিন্দার ঝড় বইছে। অক্ষর ঞ্জান সম্পন্ন ও শিক্ষিত মাস্টার মাইন্ডারের বিষয়ে জানতে নানা কৌতূহল এলাকাবাসীর । মসজিদের সম্পত্তি ওয়াকফা ছাড়া দীর্ঘদিন জুম্মার নামাজ আদায়। যা ইসলামের পরিপন্থী। বন্দরের খান বাড়ির প্রায় ৩২ শতাংশ জায়গার মধ্যে আংশিক কবরস্থানে বাকিগুলো মসজিদে। খান বাড়ির লোকজন মসজিদের সম্পত্তি ওয়াফকা নিতে বললেও কর্ণপাত করেনি তারা।
এলাকাবাসী জানান, খান বাড়ির সম্পত্তির উপর মসজিদ। মসজিদের সম্পত্তি তারা ওয়াফকা দিতে চাইলেও কমিটি কেন আগ্রহ প্রকাশ করে না তা কিভাবে বলবো। তবে ওয়াফকা সম্পত্তি দেয়ার পরিবারের পক্ষে মোতাওয়াল্লী হয়। ইসলামিক আইন অনুযায়ী মোতাওয়াল্লী এলাকার /সমাজের লোকদের নিয়ে কমিটি গঠন করে দিবে। ওয়াফকা নিলে নিজের অবস্থান সরে যাবে এমনটা ভেবে তা করেনি।
৫ই আগস্টের পর এলাকায় প্রভাব বিস্তার করার জন্য তথাকথিত বিএনপির নেতা সেলিম বাংঙ্গলীকে আশ্রয় হিসেবে গ্রহণ করেন। এরপরে শুরু হয়েছে মসজিদ এবং সরকারি পুকুর দখল নেওয়ার পাঁয়তারা। ওসমানদের দোসরের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী সচেতন মহলের। দুদকসহ জেলায় দায়িত্বরত গোয়েন্দা সংস্থার সুক্ষ তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে আরো অজানা অনেক তথ্য।
সূত্র মতে,, মদনগঞ্জ টু মদনপুর মহা সড়কের পাশে জাকির শাহ দরবার গেটের পূর্ব পাশে বিশাল জায়গা জুড়ে কাঠপট্টি তৈরি করে প্রদীপ।এতে সহযোগিতা করে তথাকথিত দুলাল প্রধান । প্রতিটি দোকান থেকে ২০ হাজার টাকা করে ভাড়া আদায় করা হয়। এখানে ৩০ থেকে ৪০ টা দোকান রয়েছে। প্রদীপ দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা ভাড়া আদায় করে থাকে প্রতি মাসে। এর পিছনে রয়েছে বিশাল পুকুর। সরকারি জায়গা জাল দলিল করে, মিথ্যা লীজ এর কাগজ দেখিয়ে দখল করে প্রদীপ। মসজিদের টাকা, জায়গা, লাশ ঘরের টাকাসহ নানা অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে। দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর যাবত স্বৈরাচারী সরকারের প্রভাবে অক্ষম ঞ্জান সম্পন্ন চাঁন মিয়া ও শিক্ষিত প্রভাবশালী প্রদীপের নির্দেশ ছাড়া কেউ কথা বলতে সাহস পায়নি। কোন মুসল্লী বা সমাজের সচেতন লোক মসজিদ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে চাঁন মিয়া এড়িয়ে চলতেন এমনকি অনেক বয়স্কদেরও ধুমকি দিয়ে কথা বলার অভিযোগ রয়েছে। মসজিদ কমিটির সভাপতি বালু, ভূমিদস্যু ও টাওয়ার চাঁন মিয়া ও প্রদীপ সাধারণ সম্পাদক যেনো সকল কর্তা। কারো কোনো কথা কর্ণপাত করার মত সময় নেই। ওসমানদের দোসর চাঁন মিয়া ও প্রদীপ কি আইনের উর্দ্ধে। মসজিদের মত জায়গায় দাঁড়িয়ে চাঁন মিয়া সাংবাদিকদের হুমকি ও প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জের বিষয়টি সর্বত্র আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে।
সূত্রে আরো প্রকাশ, নারায়ণগঞ্জে বন্দরে অপারেশন ডেভিল হান্ট ও নিয়মিত অভিযানে আওয়ামীলীগ জাতীয় পার্টির সক্রিয় নেতাকর্মীসহ চিহৃিত দোসরদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হচ্ছে পুলিশ। বন্দর থানা পুলিশের পরিদর্শক তরিকুল ইসলামের বিচক্ষনতায় বন্দরের চিহৃিত অপরাধীদের মনিটরসহ গ্রেফতার পূর্বক আদালতে প্রেরন করে অনেকটা নিজেকে দক্ষ হিসেবে প্রমান করেছেন। অপারেশন ডেভিল হান্টের মধ্যে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের দোসররা পড়লেও প্রকাশ্য চিহ্নিত বালুদস্যুসহ বহু অপকর্মের হোতা চাঁন মিয়া । রংধনুর চেয়ে দ্রুত তিনি ভোল্ট পাল্টিয়ে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারদর্শী। ৯০ দশকের লেভার সর্দার বর্তমানে হাজার কোটি টাকার মালিক। অপারেশন ডেভিড হান্ট অভিযান পরিচালনা বহুগুনের গুণান্বিত চাঁন মিয়া ওরফে টাওয়ার / দস্যু চাঁন মিয়াকে আইনের আওতায় নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বের হয়ে আসবে অনেক লোমহর্ষক পরিকল্পনার ইতিহাস। বন্দরের শান্তিনগর এলাকায় বালুদস্যু চাঁন মিয়া নদীর বালু কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎ’র টাওয়ার ফেলে দেয়ার উপক্রম হয়। প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে গিয়ে ওসমান পরিবারের শেল্টারে যা সম্ভব হয়নি।
৫ আগস্টের পর চাঁন মিয়া সেই চিরচেনা পল্টিবাজ খ্যাত অবস্থান পরিস্কার করছেন। দস্যুদের পূর্ণবাসন করার জন্য সমাজের ভদ্রবেশী আইনকরা কাজ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। চাঁন মিয়া একজন বহুরূপী বালু দস্যু সুবিধাভোগী। ৯০ দশকে মুন্সিরগঞ্জ হতে বন্দরে আসে। বন্দর খেয়াঘাটে লেভারদের সর্দার ছিলেন। তারসাথে তাল মিলিয়ে বিএনপির রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িয়ে পরে। ৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভোল্ট পাল্টায় চাঁন মিয়া। ফের ২০০১ সালে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর পূর্বের রুপে। তারপর বিগত স্বৈরাচারী সরকারের সময়ে ওসমান পরিবারের একনিষ্ট ভক্ত ও কাছের লোক চাঁন মিয়া। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আগেও চারদলীয়জোট সরকার আমলে বালুর ব্যবসা ছিল বেশ। তারপর ১/১১ সময়ে সুকৌশলে ব্যবসা চালিয়ে যায়। মহাজোট সরকার স্বৈরচারী সরকারের আমলে এমন কোন কাজ নেই যে তারা করেনি। ওসমান পরিবারের একজন দোসর।