বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বন্দর থেকে নিখোঁজ হওয়া বন্দর থানা ২৩ নং ওয়ার্ড একরামপুর ইস্পাহানি এলাকার আনোয়ার শেখ ছেলে ইয়াছিন শেখ (৪৫) এর লাশ কেরানীগঞ্জ ধোলেশ্বর বুড়িগঙ্গা নদী থেকে উদ্ধার করেন কেরানীগঞ্জ নৌ পুলিশ।
এ বিষয়ে গত ২৫ এপ্রিল বন্দর থানায় একটি হারানো জিডি নং ১৩০৫ করেন মৃত ইয়াছিন শেখের স্ত্রী আফসানা বেগম জিডি করার ৪দিন পরে ধলেশ্বরী নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় ইয়াছিনন শেখের লাশ উদ্ধার হয়।
এ ঘটনার আরো জানা যায় গত বুধবার ২৩ এপ্রিল কেরানীগঞ্জ ধোলেশ্বর বুড়িগঙ্গা নদীতে একটি পুরাতন জাহাজ ক্রয় করতে জান ইয়াসিন শেখ, একই জাহাজ কয় করার জন্য এক ঘণ্টা পরে ঘটনাস্তরে যান, আমির হামজা নামের আরেক ব্যক্তি।
ইয়াসিন শেখের সাথে আমির হামজা ও আরিফ নামের দুইজনের পূর্ব থেকেই ১৫ লক্ষ টাকার একটি লেনদেন রয়েছে, যে টাকা আমির হামজা ও আরিফ ইয়াসিন শেখের কাছে পাওনা রয়েছেন।
পাওনা টাকা না দিয়ে দীর্ঘ চার বছর পালিয়ে ছিলেন ইয়াসিন শেখ, গত ২৩ এপ্রিল কেরানীগঞ্জের ধোলেশ্বর বুড়িগঙ্গা নদীতে সেই ভাসমান জাহাজে ইয়াসিন শেখের সাথে আমির হামজার দেখা হয়।
দেখা হওয়ার পর আমির হামজা ইয়াসিন শেখের কাছে পাওনা ১৫ লক্ষ টাকা চায় এ সময় সে সেই টাকা এখন দিতে পারবে না বলে জানালে, আমির হামজা ইয়াসিন শেখ কে চড় থাপ্পর মারেন।
চড় থাপ্পড় মেরে জাহাজ থেকে আমির হামজা নেমে যায় নেমে যাওয়ার পর জাহাজ থেকে নিজেকে আত্মরক্ষার্থে ইয়াসিন মিয়া নদীতে ঝাঁপ দেয় বলে জানান জাহাজে থাকা গুলজার মিয়া নামের এক ব্যক্তি,।এ সময় গুলজার মিয়া আরো বলেন আমার কাছ থেকে ইয়াছিন শেখ একটি পলিথিন ও নদীতে কতটুকু পানি আছেন বলে জানতে চায় আমি তাকে বলি এখানে নদীতে পানি কম এবং সে আমার কাছ থেকে একটি নীল কালারের পলিথিন নিয়ে যায়।
পরক্ষণিক আমি জাহাজে তাকে খুঁজলে ইয়াসিন শেখে আর দেখতে পাই নাই, ওই সময় জাহাজে আমি আর ইয়াসিন শেখ ছাড়া আর কেউ ছিলনা।
এ ঘটনায় লাশ উদ্ধার করে কেরানীগঞ্জ নো পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোড হাসপাতালের মর্গে পাঠান। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ খুলনায় তার গ্রামের বাড়ি পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।