ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জে আদালতে মামলার স্বাক্ষী দিতে গেলে মো.খাজা মামুন নামে এক ব্যক্তিকে মারধর ও চাকু দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ধর্ষন মামলার আসামী শফিকুল ইসলাম রিফাত ওরফে ধর্ষকগংদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে গুরুতর আহত খাজা মামুন ধর্ষক রিফাত গংদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগে সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানতুলী এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো.খাজা মামুন উল্লেখ করেন যে, গত বুধবার ২রা অক্টোবর দুপুর সোয়া ১২ টায় ফতুল্লা থানাধীন নারায়ণগঞ্জ কোর্টে ধর্ষন মামলা যাহার নং- ২৫(৫)২২, তারিখ: ১০/১২/২০২২ ইং এর বাদী পক্ষে স্বাক্ষী দিতে গেলে উক্ত ধর্ষন মামলার চার্জশিটভুক্ত ১নং আসামী ও অত্র অভিযোগে উল্লেখিত ১নং বিবাদী পাঠানতুলী এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে শফিকুল ইসলাম রিফাত ওরফে ধর্ষক রিফাত,মৃত. রফিক সরদারের ছেলে আলাউদ্দিন,আলাউদ্দিনের স্ত্রী আসমা বেগম ওরফে মামলাবাজ আসমা,সিদ্ধিরগঞ্জের চৌধুরীবাড়ি এলাকার নাছিরউদ্দিনের ছেলে মো.রাফিদ, খানপুর এলাকার মৃত.হানিফের মেয়ে রুমা ওরফে ল্যাডি ক্যাডার রুমাসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬জন দিবাদীগন আমাকে কোর্টের সামনে দেখিতে পাইলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তাহারা আমাকে জোরপূর্বক তুলিয়া অজ্ঞাতস্থানে নিয়া যায়। পরবর্তীতে বিবাদীগন আমাকে এলোপাথারী মারধর করিয়া ১নং বিবাদী শফিকুল ইসলাম রিফাত ওরফে ধর্ষক রিফাত আমার গলায় ধারালো চাকু দিয়ে আত করিলে তাহা আমার ঘাড়ে আঘাত প্রাপ্ত এইয়া রক্তাক্ত জখম হয়। ২নং বিবাদী আমার পায়জামার ডান পার্শ্বের পকেট দলিল রেজিস্ট্রির করার রক্ষিত ৪০ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনাইয়া নিয়া যায়। ৩,৪ ও ৫নং বিষাদী আমাকে এলোপাথারী কিলঘষি ও লাথি মারিয়া আমার নাক ঠোট ও মাথা সহ শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলাফুলা জখম ও রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তীতে বিবাদীগন আমার আত্মীয় স্বজনকে ফোন দিয়ে ১নং বিবাদী আমার থেকে আরো ৬০ হাজার টাকা দাবি করে এবং আমাকে এই মর্মে হুমকী-ধামকি প্রদান করে যে, আমি যদি উক্ত মামলা স্বাক্ষী দেই তাহলে বিবাদীগন আমাকে প্রানে মেরে আমার লাশ গুম করে ফেলবে। তখন আমি ঘটনাস্থল হইতে কোনরকম দৌড়াইয়া কোর্টে আসিয়া আত্মরক্ষা করি। উল্লেখ্য যে,অপহরনের বিষয়ে কিছু পথচারী ভিডিও ধারন করে তাহা আমি প্রমান হিসাবে পথচারীদের কাছ থেকে পরবর্তীতে সংগ্রহে রেখেছি। উক্ত বিবাদীগন যে কোনো সময়ে আমার যে কোনো বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করিতে পারে বলিয়া আমার আশঙ্কা হইতেছে। আশেপাশের লোকজন ও কোর্টের আইনজীবী সহকারীগণ আমার গুরুতর অবস্থা দেখিতে পাইলে তাহারা আমাকে খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়া চিকিৎসা গ্রহন করায়। আমি কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে চিকিৎসার কাজে ব্যস্ত থাকিয়া কিছুটা সুস্থ হইয়া থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করেছি। এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানা উপপরিদর্শক মো.রবিউলের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান,অভিযোগের কাগজটি এখনও হাতে পাইনি। কাগজটি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যস্থা গ্রহন করবো।