স্টাফ রিপোর্টার :
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুরের দক্ষিন সেহাচর বায়তুল ফালাহ মসজিদ রোড এলাকায় ৪ বছরের শিশু ধর্ষন মামলার আসামি ছোটন জামিনে বের হয়ে এসে মামলা তুলে নিতে বাদী পক্ষের লোকজন কে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার হস্তক্ষেপ কামনা করে স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
এ ব্যাপারে ভূক্তভোগীর বড় ভাই আহম্মেদ মৃদুল বাদী হয়ে ডিসির নিকট লিখিতপত্রে উল্লেখ করেন,গত ২৬/০১/২০২৩ ইং তারিখে বিকাল ৪:৩০ মিনিটে মজা কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৪ বছর শিশু (মাগফিরা) কে নিজ বাসায় দরজা বন্ধ করে ধর্ষন করে ছোটন (২১)।
প্রতিদিনের ন্যায় বিকালে মজা কিনতে যায় কুতুবপুরের দক্ষিন সেহাচর বায়তুল ফালাহ মসজিদ রোড দোকানে, কিন্তু দোকানটি বন্ধ থাকায় পাশে একটা মহিলা বসে থাকে মহিলাটি ধর্ষক ছোটনের (মা) দেখতে পেরে তাকে জিজ্ঞেস করে দোকানটা বন্ধ কেনো, সে জানায় বুড়ি অসুস্থ। মহিলাটির সাথে একটি ছোটো মেয়ে সাথে ছিলো মেয়েটি ধর্ষক ছোটনের ভাতিজি, মেয়েটির নাম রাত্রি। তখন দুজন খেলা করতেছিলো, একসময় দেখে রাত্রি ও মাগফিরা কেউ নেই, খোঁজাখুজির পরে হঠাৎ রাত্রিকে ওর নিজ বাড়ির দরজা থেকে বের হতে দেখে, তারে জিজ্ঞেস করা হয় তোমার সাথে আমার মেয়েটা ছিলো সে কোথায়, তখন রাত্রি বলে আমার চাচ্চু আমাদের ঘরের ভিতরে ডাক দিয়ে নিয়ে যায়, বাহিরে খেলা ভালো না, আমাকে বের করে দিয়ে মাগফিরাকে ঘরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দিছে, তখন দৌড়ে যেয়ে গেটে আওয়াজ করলেও দরজা খুলে না প্রায় ১০ মিনিট পরে গেট খুললে মেয়ে দৌড়ে এসে মায়ের গলা ধরে কান্না করতেছে।
ছোটন ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। মাগফিরা (৪) কে বাসায় এনে দেখতে পায় প্রসাবের রাস্তায় লাল হয়ে আছে এবং অনেক বেথা করতেছে। সাথে সাথে মোস্তাফিজ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তার জানায়, তলি ফেটে গেছে অনেক রক্ত বের হইছে।
ঢাকা মেডিকেল নিতে হবে। তার পরের দিন আমরা থানায় জিডি করি এবং পুলিশ ধর্ষক আসামী ছোটকে গ্রেফতার করে। পুলিশ টাকা খাইয়ে সাজা কমানোর জন্য ১৬ বছর দেয় কিন্তু আসামীর ২১ বছর। কোর্টে প্রেরন করলে ৬ মাস জেল হাজতে থাকে আসামী। ০৯/০৮/২০২৩ ইং তারিখে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী লোকদের ছায়াতলে থেকে জামিনে বের হয়।
ডাক্তারি মিডিকেল রির্পোট থাকা সত্বেও জামিন পায়। বের হওয়ার পরে থেকেই নানাভাবে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়ে আসিতেছে বিভিন্ন প্রভাবশালী লোকদিয়ে প্রানে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। কোর্টে গেলেও সঠিক ভাবে স্বাক্ষী নেয় না। টাকার জোড়ে পুলিশও কোনো তদন্ত নেয় না। যারাই স্বাক্ষী দিতে যায়, তাদের হুমকি প্রদান করে। মামলার তারিখ তারা অনেক পিছিয়ে দেয়। আমাদের এখনো তারা নানাভাবে হুমকি দিয়েই আসছে, ঘর থেকে বের হতে পারতেছিনা মহোদয়, বহুবার থানায় অভিযোগ করেও কোনো ফায়সালা হয় নি। আসামী ছোটন চোর, ছিনতাইকারী, এবং নেশাখোর। পাড়া/মহল্লায় / গ্রামে সকলেই বলেছে। ভিকটিমের জবানবন্দী, বাদীর স্বাক্ষী, মেডিকেল সাটিফিকেট এবং অন্যান্যদের সকল প্রমান থাকা সত্বেও ধর্ষনকারীর শাস্তি হচ্ছে না। আমাদের পরিবারের সদস্যের চলাফেরা করা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আমরা সঠিক ন্যায্য বিচার চাই। ৪ বছর শিশু বাচ্চাটিও সব বলতে পারে কি হয়েছে তারসাথে। এখনো তারা বিএনপি ‘র’ নামধারী লোক দিয়ে আমাদের উপর চালিয়েই যাচ্ছে।
উপরোক্ত বিষয়গুলো সু-বিবেচনা করিয়া, সঠিক ন্যায় বিচার স্থাপন করিয়া ধর্ষকের শাস্তির ব্যবস্থা করতে ডিসির হস্তক্ষেপ কামনা করেন।