ষ্টাফ রিপোর্টার:
বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ ১৭ দফা দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছেন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অবস্থিত একটি কারখানার শ্রমিকরা। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধে তৈরি দীর্ঘ যানজট। চরম ভোগান্তিতে পড়েন দূরপাল্লা বাসের চালক-যাত্রীরা।
আজ শনিবার (৩১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার রূপসী এলাকায় অবস্থিত শরিফ ফার্মাসিউটিক্যাল কারখানার শ্রমিকরা এ অবরোধ করেন।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শরিফ ফার্মাসিউটিক্যাল কারখানার প্রশাসনিক ব্যবস্থাপক ইসমাইল হোসেন শ্রমিকদের ওপর নানাভাবে চাপ প্রয়োগ ও নির্যাতন চালিয়ে আসছে। বারবার মালিক পক্ষকে অনুরোধের পরও তাকে অপসারণ করা হয়নি। তা ছাড়া মালিক পক্ষের কাছে দীর্ঘদিন ১৭ দফা দাবি জানিয়েও সাড়া না পেয়ে আজ শনিবার (৩১ আগস্ট) সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা। এ সময় তাদের ১৭ দফার পক্ষে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে শোনা যায়।
পরে মালিক পক্ষ ইসমাইল হোসেনকে তাৎক্ষণিক অপসারণ করে এবং অন্যান্য দাবি বিবেচনা করা হবে বলে শ্রমিকদের আশ্বস্ত করা হয়। এরপর শ্রমিকরা শান্ত হয়ে কারখানায় গিয়ে কাজে যোগ দেন।
শরিফ গ্রুপের এজিএম মো. মফিজুর রহমান বলেন, এখানে শরিফ গ্রুপের চারটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান শরিফ ফার্মাসিউটিক্যাল কারখানা।
এই কারখানায় চার শতাধিক শ্রমিক কাজ করেন। শ্রমিকদের দাবিতে তাৎক্ষণিক শরিফ ফার্মাসিউটিক্যাল কারখানার অ্যাডমিন ম্যানেজার ইসমাইল হোসেনকে অপসারণ করা হয়েছে। শ্রমিকদের অন্যান্য দাবি মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বাস্তবায়ন বিবেচনা করা হবে।
১৭ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- নতুন যোগ দেওয়া কর্মচারীদের বেতন ১৭ হাজার ৫০০ টাকা করা এবং ছয় মাসের মধ্যে স্থায়ীকরণের পর বেতন ২০ হাজার ৫০০ টাকা করা, প্রতিবছর বেতন তিন হাজার টাকা বৃদ্ধি করা, দুই ঈদের বোনাস দেওয়া এবং বেতনের সমপরিমাণ ও বৈশাখী বোনাস দেওয়া, প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্রাচুইটি চালু করা, নাইট ডিউটিতে ৫০০ টাকা করে দেওয়া, ওভারটাইম হার শতভাগ দেওয়া এবং বেতনের সঙ্গে দেওয়া, দুপুরের খাবারের মান উন্নয়ন করা এবং সকালের নাশতা দেওয়া, ওভারটাইম থাকলে নাশতা বিল বাড়ানো, রমজানে ভালো মানের ইফতার দেওয়া, ক্যান্টিন বিল তিন হাজার টাকা দেওয়া, কোনো শ্রমিক চাকরিচ্যুত হলে তাকে কমপক্ষে তিন মাসের বেতন দেওয়া, সব কর্মচারীর কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টা করা ইত্যাদি।