সবাই সতর্ক থাকুন
ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন কুটিপাড়া এলাকার মো.আনোয়ার হোসেন ভুইয়ার ছেলে মোঃ রায়হান আহাম্মেদ ভূইয়ার ব্যাংক একাউন্টে অজ্ঞাতসারে ১০ লাখ টাকা প্রবেশ করার কারনে হতবিম্ব রায়হান ভুইয়া সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সদও মডেল থানায় দায়েরকৃত অভিযোগটি হুবুহু দেয়া হলো:
বিষয়: আমার নামে অবৈধভাবে ব্যাংক একাউন্ট খোলা ও সন্দেহজনক লেনদেন সংক্রান্ত আইনগত সহায়তা চেয়ে আবেদন।
আমি অত্যন্ত দুঃখ ও উদ্বেগের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমার অজ্ঞাতসারে পূবালী ব্যাংক লিমিটেড-এর নিতাইগঞ্জ শাখায় আমার নামে একটি ব্যাংক একাউন্ট খোলা হয়েছে এবং সেখানে ১০ (দশ) লক্ষ টাকা জমা ও উত্তোলন করা হয়েছে, যার সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
গত ০৬/০৫/২০২৫ তারিখে আমার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে একটি এসএমএস আসে, যাতে উল্লেখ ছিল যে পূবালী ব্যাংকের ভৈরব শাখা থেকে আমার একাউন্টে উক্ত পরিমাণ টাকা জমা হয়েছে। বিষয়টি দেখে আমি বিস্মিত হই, কারণ আমি জীবনে কখনো পূবালী ব্যাংকে একাউন্ট খুলিনি।
বিষয়টি যাচাই করতে আমি ০৮/০৫/২০২৫ তারিখে টানবাজার শাখায় যাই এবং সেখানকার কর্মকর্তা আমার মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে জানান যে, আমার নামে পূবালী ব্যাংকের নিতাইগঞ্জ শাখায় একটি একাউন্ট খোলা রয়েছে।
পরবর্তীতে নিতাইগঞ্জ শাখায় সরাসরি গিয়ে বিষয়টি জানালে হেল্প ডেস্কে কর্মরত পিয়াংকা নামের এক কর্মকর্তা জানান, আমার একাউন্টে ভুলবশত টাকা জমা হয়েছিল এবং তা ফেরত দেওয়া হয়েছে। আমি জানতে চাইলে, আমার নামে একাউন্ট কিভাবে খোলা হলো, কেন আমাকে জানানো হয়নি এবং ফেরত দেওয়ার বিষয়ে কোনো এসএমএস কেন পাঠানো হয়নি তিনি বলেন, “আপনার টাকা না, আপনাকে জানানো প্রয়োজন নেই।”
পরে আমি অপারেশন ম্যানেজার মনির স্যার-এর সঙ্গে কথা বললে তিনিও একই ধরনের উত্তর দেন এবং বলেন, “আপনার টাকা না, আপনাকে জানানো লাগবে না।” আমি উত্তরে বলি: “আমার না হোক, কিন্তু আমার নামে যদি কোনো অপরাধ হয়, তাহলে তো আমি ফাঁসবো।” কিন্তু তিনি বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে অসহযোগিতা করেন।
পরবর্তীতে শাখা ব্যবস্থাপক সফিউল আজম স্যার-এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “আমরাই ভুলে টাকা দিয়েছি, আমরাই সেটা ফেরত নিয়েছি।” অনেক আলোচনার পর, তাঁর নির্দেশে আমাকে একাউন্টের একটি স্টেটমেন্ট প্রদান করা হয়। সেখানে দেখা যায়, একাউন্ট নম্বর ৪৪৯২৯০১৮০৯৭, “মেসার্স জালাল এন্টারপ্রাইজ” থেকে আমার নামে থাকা একাউন্টে ১০ লক্ষ টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে, যা পরবর্তীতে পূবালী ব্যাংকের ভৈরব শাখায় ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনায় আমার ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন মোবাইল নম্বর ও অন্যান্য তথ্য, কীভাবে সংগ্রহ করা হলো এবং আমার অজ্ঞতাসারে কিভাবে একাউন্ট খোলা হলো, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং এটি একটি গুরুতর অপরাধমূলক কার্যকলাপ।
অতএব, আমি বিনীতভাবে অনুরোধ করছি
১. এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আমার নামে অবৈধভাবে একাউন্ট খোলা ও অর্থ স্থানান্তরের ঘটনার আইনগত তদন্ত করা হোক।
২. পূবালী ব্যাংক, নিতাইগঞ্জ শাখার কর্মকর্তা পিয়াংকা, মনির স্যার ও ব্যবস্থাপক সফিউল আজম স্যার-এর ভূমিকা খতিয়ে দেখা হোক এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
৩. ভবিষ্যতে কেউ যাতে আমার পরিচয় ব্যবহার করে এ ধরনের অপরাধমূলক কাজ করতে না পারে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
আমি আপনার সদয় সহযোগিতা ও আইনগত সহায়তা প্রত্যাশা করছি।
নিবেদকঃ
মোঃ রায়হান আহাম্মেদ ভূইয়া