লিয়াকত হোসাইন লায়ন, জামালপুর প্রতিনিধি ॥ জামালপুরের ইসলামপুরে যমুনার শাখা নদীর উপর বলিয়াদহ ডেপরাইপ্যাচ এলাকায় নির্মিত আগারী ব্রীজটির বন্যা ও বর্ষণে এ্যাপ্রোজ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় এবং নিচ থেকে মাটি উত্তোলনে ঝুঁকিতে রয়েছে। যে কোন মুহুর্তে দূর্ঘটনার ঘটার শঙ্কা করছে পথচারীরা।
জন গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে প্রতিদিন উপজেলা সদর থেকে পার্শবর্তী মেলান্দহ,মাহমুদপুর,মাদারগঞ্জে উপজেলার হাজার মানুষ ও ভারী যানবাহন চলাচলসহ সংলগ্ন কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের চলাচলের প্রধান সড়ক হওয়ায় সকলের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জানা গেছে, বিগত দিনে বন্যা ও টানা বর্ষণে চিনাডুলী এস,এন উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন আগাড়ী ব্রীজের এ্যাপোজের দু পার্শের অংশের মাটি ধসে গিয়ে একাধিক দূর্ঘটনা ঘটে। কোনমতে মেরামত হলেও এবার আবারো ধসে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো সংস্কার হয়নি। এতে পথচারীরা মাঝে মধ্যই দূর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে। অন্যদিকে নিচ থেকে মাটি উত্তোলনের ফলে ব্রীজটি দেবে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। বিগত দিনে এই জায়গাতেই বন্যায় পুরো একটি ব্রীজ দেবে যাওয়ার কথা লোক মুখে শোনা গেছে।
সরেজমিনে দেখাগেছে, এ্যাপোজের বেশিরভাগ মাটি ধসে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলছে ভটভটি, ইজিবাইক, পিকআপভ্যান ও ভ্যানগাড়ি,মাহিদ্র ট্রাক্টরসহ বিভিন্ন ভাড়ী যানবাহন।
ভ্যানচালক আবুল কাসেম ও ইজিবাইকচালক ছাবের আলী বলেন, এই সড়ক দিয়ে ইসলামপুর উপজেলা বলিয়াদহ হয়ে মেলান্দহ-মাদারগঞ্জের গাড়ি ও লোক চলাচল করে। আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। তারা সড়কটি দ্রুত সংস্কার ও নিচ থেকে যাতে মাটি উত্তোলন না করার দাবী জানান।
চিনাডুলী এস,এন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুজাহিদুল ইসলাম বিজয় বলেন, ব্রীজের এ্যাপ্রোজ বক্স থেকে সড়কটির মাটি ধসে যাওয়ায় আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হচ্ছে। দ্রুত ব্রীজটির সংস্কার করা উচিত।
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আমিনুল হক বলেন, বলিয়াদহ সড়ক খুবই জন গুরুত্বপূর্ণ। বিগত সময়ে বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে ব্রীজের নীচ থেকে মাটি পাশের খালে ধসে পড়েছে। আশা করছি খুব দ্রুতই সংস্কার করবো।