প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে নির্ধারিত সময়ে মতামত জানিয়েছে সাতটি দল। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ ১৬ দল সময় চেয়েছে। বাকি ১১ দল মতামত দেয়নি, সময়েরও অনুরোধ করেনি। এরই মধ্যে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কিছু সংস্কারে রাজনৈতিক সংলাপের প্রয়োজন। নির্বাহী ক্ষমতায় মন্ত্রণালয়গুলো তা বাস্তবায়ন করবে।
পাঁচ সংস্কার কমিশনের ১৬৬টি সুপারিশের বিষয়ে মতামত জানাতে ৬ মার্চ ৩৪টি রাজনৈতিক দলকে চিঠি দেয় ঐকমত্য কমিশন। ১৩ মার্চের মধ্যে মতামত জানাতে অনুরোধ করা হয়। বিএনপি আগামী রোববার বা সোমবার মতামত জানাবে বলে কমিশনকে মৌখিকভাবে জানিয়েছে। তবে কমিশনের নির্ধারিত ছকে নয়, বিস্তারিত মতামত জানাবে। পাঁচ দিন সময় চাওয়া জামায়াতের অবস্থানও একই। তারাও টিক চিহ্নে নয়, দলীয় বিশেষজ্ঞদের পূর্ণাঙ্গ মত জানাবে। শেখ হাসিনার পতন ঘটানো ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের নেতাদের নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) মতামত দিতে সময় চেয়েছে।
কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা সমকালকে বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো যত দ্রুত মতামত দেবে, সংস্কারের কাজও তত দ্রুত শুরু হবে। সংস্কারে বিলম্ব হলে নির্বাচনেও বিলম্বিত হতে পারে।
সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, দুদক এবং পুলিশ সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় ১২ ফেব্রুয়ারি ড. ইউনূসের নেতৃত্বে ঐকমত্য কমিশন হয়। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২২টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে কমিশন প্রথম বৈঠক করে। এতে সিদ্ধান্ত হয়, রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারের সুপারিশের বিষয়ে পৃথকভাবে মতামত জানাবে। কতটুকু সংস্কার, কীভাবে হবে– এ বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য হবে দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে।
সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, দুদক সংস্কারে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিলেও, পুলিশ সংস্কারের ক্ষেত্রে তা হচ্ছে না। সরকারি সূত্র জানিয়েছে, নির্বাহী ক্ষমতায় পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্কার করা হবে। যদিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত স্বাধীন কমিশন নয়, নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায় পুলিশকে।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ছয় সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশ মন্ত্রণালয়গুলো বাস্তবায়ন করবে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, বেশ কিছু সুপারিশ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক সংলাপের দরকার নেই। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ই বাস্তবায়ন করতে পারে। এসব প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আর্থিক সংশ্লেষও নেই। এ বিষয়ে ৩০ পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট তৈরি হচ্ছে, তা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হবে।
সংস্কারের ১৬৬ সুপারিশের ৭০টি সংবিধান সংক্রান্ত, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে ২৭, বিচার বিভাগে ২৩, জনপ্রশাসনে ২৬ ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারে ২০টি সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। সুপারিশে ভিন্নমত থাকলে রাজনৈতিক দলগুলো তা মন্তব্যের কলামে জানাতে পারবে।
সংস্কার প্রস্তাব কীভাবে বাস্তবায়ন করা যাবে এ–সংক্রান্ত ছয়টি বিকল্প দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো– নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে, নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে, নির্বাচনের সময় গণভোটের মাধ্যমে, গণপরিষদের মাধ্যমে, নির্বাচনের পরে সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে এবং গণপরিষদ ও আইনসভা হিসেবে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে। এসব ঘরের যে কোনো একটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত দিতে বলা হয়।
ছকে আপত্তি দলগুলোর
বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এভাবে ছকে টিক চিহ্ন দিয়ে সংস্কারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতামত দিতে রাজি নয়। একাধিক নেতা সমকালকে বলেছেন, এভাবে মতামত চেয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে হেয় করা হয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্কুলের পরীক্ষার মতো টিক দিয়ে হতে পারে না।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান এবং ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতির দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক আলী রীয়াজ সমকালকে বলেছেন, সবাইকে অনুরোধ করেছি, আগামী সোম অথবা মঙ্গলবারের মধ্যে মতামত জানাতে। কারও কারও ক্ষেত্রে একটু সময় লাগছে। কেউ কেউ দীর্ঘ সময় চেয়েছেন। এত সময় দেওয়া যাবে না। দিলে গোটা প্রক্রিয়ায় স্থবিরতা আসবে।
টিক চিহ্নের পরিবর্তে বিএনপি–জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলগুলোর বিস্তারিত মতামত দেওয়ার অবস্থানের বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, যতক্ষণ না মতামত দিচ্ছেন, ততক্ষণ তো বুঝতে পারছি না, বিস্তারিত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছেন। স্প্রেডশিটে মন্তব্যের ঘর রয়েছে। চাইলে তার অতিরিক্ত কাগজে লিখে মতামত দিতে পারেন।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ সমকালকে বলেছেন, রাজনীতি ছক আর টিক চিহ্ন দিয়ে হয় না। আমরা শুধু দলীয় অবস্থান নয়, জনমতের আকাঙ্ক্ষা সরকারের কাছে তুলে ধরব। তা টিক, ছকে হবে না।
দলগুলো কী বলছে
নেতারা সমকালকে বলেছেন, মাত্র সাত দিনে ১৬৬টি সুপারিশে মতামত জানানো সম্ভব নয়। শুধু দলীয় নেতা নন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে হচ্ছে। বিএনপি নেতাদের ভাষ্য, জাতীয় নির্বাচনই এ মুহূর্তের অগ্রাধিকার। কিন্তু সরকার সময়ক্ষেপণ করছে। তা যাতে না হয়, সেজন্য যথা দ্রুত সম্ভব মতামত জানানো হবে। তবে পরীক্ষার ‘এমসিকিউ’ পদ্ধতিতে টিক চিহ্নে মতামত জানাতে বলায় নাখোশ বিএনপি এবং সমমনা দলের নেতারা। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সমকালকে জানান, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মতামত জানাতে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। শিগগির তা কমিশনে জমা করা হবে।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, জামায়াত পাঁচটি কমিশনের সুপারিশ বিশ্লেষণ করছে। বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। কাজ প্রায় শেষের দিকে আগামী চার–পাঁচ দিনের মধ্যে মতামত জানানো হবে।
চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ইউনূস আহমাদও সমকালকে জানিয়েছেন, টিক চিহ্নে নয়, বিস্তারিত মতামত তৈরি করা হচ্ছে। চার–পাঁচ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে।
১২ দলীয় জোটের নেতা ও জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা জানান, টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত জানাবেন না তারা। মন্তব্যের ঘরে বিষয়বস্তু তুলে ধরে ব্যাখ্যা দেবেন। সে জন্য সময় লাগছে। এক সপ্তাহ সময় দিতে কমিশনকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক দলগুলো পৃথকভাবে মতামত জানাচ্ছে। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না জানিয়েছেন, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন তারা। আগামী রোববার মতামত জমা দেবেন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক জানিয়েছেন, মতামত জানাতে সময় চেয়েছেন। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে ‘স্প্রেডশিট’-এ মতামত চাওয়ার সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, সংবিধান সংস্কারবিষয়ক সুপারিশে এমনভাবে প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়েছে, যাতে মনে হচ্ছে সরকার কোনো একটি দিক টার্গেট করে রাজনৈতিক দলগুলোকে সেদিকে ধাবিত করার চেষ্টা করছে। এর মধ্যে গণপরিষদ ভোট থেকে শুরু করে আরও কয়েকটি বিষয় তারা সুকৌশলে উপস্থাপন করেছে।
যারা মতামত জানিয়েছে
ঐকমত্য কমিশনের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার সমকালকে বলেছেন, পাঁচটি দল নির্ধারিত ‘স্প্রেডশিটে’ মতামত জানিয়েছে। একটি দল শুধু সংবিধান সংস্কার–সংক্রান্ত সুপারিশে মতামত জানিয়েছে। আরেকটি দল অন্য পাঁচ কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে মতামত জানালেও সংবিধান সংস্কারের সুপারিশে নির্ধারিত ‘স্প্রেডশিট’ ব্যবহার করেনি। বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ ১৬টি দল সময় বাড়ানোর অনুরোধ করেছে। বাসদ সর্বোচ্চ ২০ দিন সময় চেয়েছে।
মতামত জানিয়েছে নিবন্ধিত দল এলডিপি, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, জাকের পার্টি ও এনডিএম। অনিবন্ধিত ভাসানী অনুসারী পরিষদ এবং আমজনতার দলও মতামত জানিয়েছে। ভাসানী অনুসারী পরিষদ বিএনপির সমমনা গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক দল।
বাম দলগুলোর নেতারা বলেছেন, ঐকমত্য কমিশন যে প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক জোট ও দলগুলোর কাছে মতামত চাইছে, তা নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে বসতে চাইছেন তারা।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের ছয় শরিক বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাসদ (মার্কসবাদী), গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ ও সমাজতান্ত্রিক পার্টি ছাড়াও বদরুদ্দীন উমরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, শরীফ নুরুল আম্বিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাসদ এবং টিপু বিশ্বাসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণফ্রন্টের কাছে মতামত চেয়েছে কমিশন।
দলগুলোর নেতারা জানান, সংবিধানের মূলনীতির রদবদল, গণপরিষদ, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদে সংস্কারে একমত নন তারা। বাহাত্তরের সংবিধানের মূল কাঠামো ও স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অক্ষুণ্ন রেখে অধ্যাদেশে সংস্কার চান।
বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া সমকালকে জানান, দলীয় মতামতের খসড়া তৈরি করেছেন তারা। সিপিবি সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স সময় বৃদ্ধি ও আলোচনার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসার তাগিদ দিয়েছেন কমিশনকে।
বাসদ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, টিক চিহ্ন দিয়ে ঐকমত্য পোষণ করা সম্ভব নয়। ব্যাপক আলাপ–আলোচনা প্রয়োজন।
সরকারের কৌশলে অস্বস্তি
গত ১৫ ফেব্রুয়ারির বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। কোনো দল যদি একটি সংস্কার প্রস্তাবেও একমত না হয়, তাতেও অসুবিধা নেই। কোন দল কতটি প্রস্তাবে একমত হয়েছে, তা জানিয়ে দেওয়া হবে। ভিন্নমত থাকলে তা জানাতে পারবে কমিশনকে। কমিশন তা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করবে।
রাজনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, এ অবস্থান দলগুলোকে বিপাকে ফেলেছে। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া দলগুলো সংস্কারের প্রতিশ্রুতি করায়, এ অবস্থান থেকে ফিরতে পারছে না। মতামত জানানো থেকেও বিরত থাকতে থাকতে পারছে না। যদিও ‘গণভোট’, ‘গণপরিষদ’, ‘নতুন সংবিধান’, ‘সংসদের আগে স্থানীয় নির্বাচন’সহ বিভিন্ন সুপারিশ নিয়ে তীব্র আপত্তি রয়েছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর। এনসিপি গণভোট, গণপরিষদ, নতুন সংবিধান চায়। বিএনপি ইতোমধ্যে জানিয়েছে, এসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে না। জামায়াত সংস্কারে জোর দিলেও দলটির একাধিক নেতা সমকালকে নিশ্চিত করেছেন, গণভোট ও গণপরিষদে তাদের সায় নেই। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার চায় তারা। তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে রাজি নয় দলটি।
রাজনৈতিক দলগুলোর টিক চিহ্ন না দিয়ে বিস্তারিত মতামত দেওয়ায় তা কীভাবে সমন্বয় করা হবে– প্রশ্নে কমিশন সূত্র সমকালকে বলেছে, মতামত পাওয়ার পর পদ্ধতি ঠিক করা হবে। কমিশনের মেয়াদ ছয় মাস। এর মধ্যে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
বিলম্ব হলে দায় দলগুলোরই
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনে সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এক সদস্য সমকালকে বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর লক্ষ্য উদ্দেশ্য ভিন্ন। কয়েকটি দল সংস্কার চায় না, নির্বাচন চায়। আবার নির্বাচনের আগে সংস্কার চায়, তাদেরও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে আসতে না পারে, তাহলে তাদের মতামতের কারণেই সংস্কার বিলম্বিত হবে। এতে নির্বাচনও বিলম্বিত হতে পারে।
সমকাল