ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সস্তাপুর এলাকায় সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী শাহীন আলমের জমি দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে চিহ্নিত ভূমিদস্যু দীপক কুমার নাগ গংরা। এ ব্যাপারে মোদাচ্ছের হোসেনের পুত্র শাহীন আলম বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এসআই আফতার ও এএসআই সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসার নির্দেশ দেন।
দৈনিক অপরাধ দমন পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার মোঃ শাহীন আলম অভিযোগে উল্লেখ করেন বিবাদী ১। দীপক কুমার নাগ গং (৬০), পিতা-অজ্ঞাত, মোবাইল-০১৭১১৫০৬৬৪০, ০১৭১৬০৬৮৩৭৩, সাং-অজ্ঞাত, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়ণগঞ্জ এর বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, আমি বিগত ইংরেজি ৩০/০৬/২০২২ তারিখে ফতুল্লা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত ৮৬৮৩নং সাফ কবলা দলিল মূলে ফতুল্লা মৌজাস্থিত দাগ নং-সি.এস ও এস.এ-৯২৪নং, আর.এস-১২৫৫নং দাগের ২৫ শতাংশ সম্পত্তি খরিদ করিয়া আমার নিজ নামে নামজারী ও জমাভাগ করাইয়া মালিক ও ভোগ দখলকার নিয়ত হই। পরবর্তীতে আমি আমার জমিতে কর্তব্যরত পত্রিকার নাম ব্যবহার করিয়া একটি সাইনবোর্ড স্থাপন করি। এক পর্যায়ে বিবাদীগংরা আমার মালিকানাধীন সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করিবার পায়তারা শুরু করে এবং ইংরেজি ২১/০৫/২০২৫ তারিখ রাতের যেকোন সময় বিবাদীগংরা বে-আইনী জনতাবন্ধে একজোট হইয়া আমার জমিতে অনধিকারে প্রবেশ করিয়া জমির উপর থাকা আমার পত্রিকার নামীয় সাইনবোর্ড খানা উপাড়াইয়া ফেলে এবং বিবাদীর নিজের নামে একটি সাইনবোর্ড স্থাপন করে। এরই প্রেক্ষিতে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর ইংরেজি ২২/০৫/২০২৫ তারিখ বেলা অনুমান ১০.৩০ ঘটিকার সময় আমি বিষয়টি নিয়া উল্লেখিত বিবাদীর বর্নিত মোবাইল নাম্বার গুলিতে ফোন করিলে বিবাদী আমার ফোন কল রিসিভকরে নাই। এমতাবস্থায় বিবাদীগংদের দ্বারা যেকোন সময় যেকোন সময় উপায়ে জোর পূর্বক আমার জমি বেহাত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
সাংবাদিক শাহীন আলম বলেন,বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে যুবলীগ ক্যাডার টগর জোর পূর্বক দখল করেছিল। ৫ আগষ্টের পর টগর পালিয়ে গেলে আমি আমার জমি বুঝে নেই। কিন্তু দীপক কুমার নাগ সে জমি দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
উল্লেখিত বিষয়ের আলোকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সাংবাদিক শাহীন আহম্মেদ।