ষ্টাফ রিপোর্টার
নারায়ণগঞ্জ জেলা আড়াইহাজার উপজেলার শিবপুর গ্রামে জোরপূর্বক জমি দখল করে রাস্তা নির্মাণের বাঁধা দেওয়ায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাদাঁবাজ মাহমুদ উল্লাহ লিটন বাহিনীর হামলায় গুরুতর জখম হয়েছে তাহের আলী সহ ৮/১০ জন।
এ ব্যাপারে আব্দুল মোতালিবের পুত্র মোঃ তাহের আলী বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করেন, আমার বাড়ির একাংশের উপর দিয়ে অনৈতিকভাবে রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা করিলে আমি আপত্তি জানাইলে তারা আমার নিকট ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা দিতে রাজী না হওয়ায় জোর পূর্বক রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা চালায়। এই বিষয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে বিবাদীগন ক্ষিপ্ত হয়ে অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়। বিবাদীগন ১। মাহমুদ উল্লাহ লিটন পিতা- মৃত আঃ হালিম মোক্তার, ২। রিপন মিয়া পিতা- মৃত জংসর আলী, ৩। সোহেল পিতা-রুস্তম আলী, ৪। সাদিকুর পিতা- রুহুল আমিন, ৫। ডাকাত কবির হোসেন পিতা- মৃত জমির আলী, ৬। সাদ্দাম পিতা মৃত আমির আলী, ৭। আমজাদ পিতা- আমির আলী, ০৮। ডাকাত জাহাঙ্গীর পিতা- শহিদুল্লাহ, ০৯। সালাউদ্দিন পিতা- মৃত হাশিম, ১০। মোস্তাকিম পিতা-কদম আলী, সর্ব সাং- শিবপুর, ১১। ডাকাত জাহাঙ্গীর, পিতা- চান মিয়া, ১২। ডাকাত দ্বীন ইসলাম পিতা- হাবু মিয়া, উভয় সাং- নোয়াপাড়া, ১৩। ডাকাত রাহুল পিতা- অজ্ঞাত, সাং- দক্ষিনপাড়া, ১৪। তানজিদ পিতা- আবু বকর, গ্রাম- আশুহাট, ইউনিয়ন- সাতগ্রাম, সর্ব থানা- আড়াইহাজার, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। সহ আরও অজ্ঞাত ৩০-৪০ জন। উক্ত বিবাদীগন ২৭-০৫-২০২৫ ইং তারিখ রোজ মঙ্গলবার আনুমানিক বেলা ১২টার দিকে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র, লাঠিসোটা, দা, ছুরি, আগ্নেয়াস্ত্র ও চাইনিজ কুড়াল নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে আমার বাড়ীতে হামলা চালায়। এ সময় ১নং বিবাদী মাহমুদউল্লাহ লিটন আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে হামলায় নেতৃত্ব দিয়ে আমার বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশ করেন। এ সময় সে তার সাথে থাকা সন্ত্রাসীদের হুকুম দিলে সন্ত্রাসী ২নং বিবাদী রিপন মিয়া পরপর ৬টি ককটেলের বিস্ফোরন ঘটিয়ে পুরো এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ৩নং বিবাদী রাম দা দিয়ে বাড়িঘরে এলোপাথারি কোপানো শুরু করলে আমার ছোট বোন শাহিনুর বাধা দিলে তাকে হকিস্টিক দিয়ে এলোপাথারি আঘাত করলে সে মারাত্মভাবে আহত হয়। ৪নং, ৯নং, ১০নং বিবাদীগন আমার চাচা হাশিমকে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ঘরে লুটপাট করে। এ সময় সংঘবদ্ধ হামলাকারীরা আমার হাশিম চাচার ঘরে থাকা দেড়ভরি স্বর্ণ, নগদ ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা নিয়ে যায়। ৫নং বিবাদী ডাকাত কবির হোসেন, ৬নং আমার ছোট ভাই হানিফ এর ঘরে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করিয়া ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাইয়া ১,৬০,০০০/-(এক লক্ষ ঘাট হাজার) টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ৬নং ৭নং ও ৮নং বিবাদী আমার শয্যাশায়ী বোন রুনাসহ অন্যান্য মহিলাকে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। ১১নং, ১২নং, ১৩নং ও ১৪ নং বিবাদী অজ্ঞাত আরও সন্ত্রাসীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর, লুট, নারীদের শ্লীলতাহানী করে।
বাদী তাহের আলী ও তার স্বজনরা জানান,উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের লোকজন,তাদের হামলায় প্রতিবন্ধী মেয়েও রেহাই পায়নি।
উপরোক্ত ঘটনার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিবাদীগনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।