ষ্টাফ রিপোর্টার:
সিদ্ধিরগঞ্জে মোবাইল সিম ক্রয়ের কথা বলে বাংলালিংক কোম্পানির ইএসও মো. জামাল হোসেনকে কৌশলে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় মামলা হয়েছে। সোমবার রাতে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন।
এর আগে সোমবার বিকালে অপহরণের ঘটনায় দুজনকে আটক করে পুলিশ। পরে মামলা হলে সে দুজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আনু মিয়া ও তুষার মিয়া। এ দুজন বাদেও মামলায় আরও দুজনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় আরও দুই থেকে তিনজনকে।
মামলায় এজাহারনামীয় অন্য আসামিরা হলেন মহিন, মো. জসিম উদ্দিন ও ইব্রাহিম। সকল আসামিরা সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকার বাসিন্দা।
সোমবার রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীনুর আলম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১২ জুন জামাল হোসেনকে মোবাইল সিম কেনার কথা বলে শিমরাইলের (চিটাগাংরোড) কাশশাফ শপিং কমপ্লেক্স এলাকায় নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রাইভেটকারযোগে বাংলালিংক কোম্পানির ইএসওকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। এরপর অপহরণকারীরা পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা তাকে মারধর করে।
পরে জামাল হোসেন পরিবারের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা এনে অপণকারীদের দেয়। এ সময় অপহরণকারীরা তার কাছ থেকেও আরও পাঁচ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে নেয়। পরে বাকি টাকা পরিশোধের শর্ত দিয়ে তাকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা।
এদিকে, অপহরণকারীরা সোমবার দুপুরে মুক্তিপণের বাকি টাকা নিয়ে আসার জন্য ফোন দেয়। পরে জামাল হোসেন বিষয়টি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশকে জানায়। অভিযান চালিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকা থেকে আনু মিয়া ও তুষার মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ওসি মোহাম্মদ শাহীনুর আলম বলেন, ‘এ ঘটনায় সোমবার রাতে মামলা নেওয়া হয়েছে। অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’