জাগো নারায়ণগঞ্জ:
ফতুল্লা থানাধীন আশপাশ এলাকায় এক নতুন আতংকের নাম হয়ে দাড়িয়েছে মো.মামুন ওরফে সোর্স মামুন। নিজে একটি হোন্ডা চুরির মামলার ওয়ারেন্ট মাথায় নিয়ে ঘুরলেও থানা কতিপয় অর্থলোভী পুলিশ সদস্যকে নিয়ে মহাব্যস্ত সময় পার করছেন বিভিন্ন ওয়ারেন্টের আসামীকে ধরাতে আর মাদক দিয়ে সাধারন মানুষকে হয়রানী করতে। ফতুল্লা রেলষ্টেশন,সাজাহান রোলিং মিলসসহ কয়েকটি স্থানে মামুনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষগুলো।
ফতুল্লা রেলষ্টেশন,সাজাহান রোলিং মিলস এলাকার আশপাশের অনেক বাসিন্দা জানান,থানা পুলিশের সোর্স হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত করছে এ মামুন। একটি হোন্ডা চুরি মামলায় ওর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্টও রয়েছে। অথচ থানার ২/১জন এসআইয়ের সাথে দিব্ব্যি ঘুরে বেড়ালেও ওকে ওয়ারেন্টের বলে আটক করছেনা পুলিশ। আর এ সাহসকে পুজি করে মামুন এলাকার নিরীহ মানুষগুলো মাদক দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে হুমকী দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। হাজিগঞ্জ ফাড়ির এক এসআইকে নিয়ে প্রতিদিনই এ সকল এলাকাতে মাদক উদ্ধারের অভিযানের নামে নিরীহ মানুষকে আটক করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এ সোর্স মামুন। সোর্স হিসেবে পুলিশের সাথে সখ্যতা থাকায় স্থানীয়রা মামুনকে কিছু বলতে সাহস পায়না। তারা আরও বলেন, বিভিন্ন মাদক স্পট থেকে নিয়মিতভাবে মাসোহারা আদায় করায় উক্ত মাদক স্পটগুলোতে পুলিশকে নিয়ে যায়না। বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত মাদক সেবনকারী এবং নিরীহ মানুষগুলো কোমড়ে মাদক দিয়ে পুলিশ দিয়ে নিয়মিতভাবে হয়রানী করছে এ মামুন। ফতুল্লা থানায় সোর্স মামুনের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা থাকার ফলেও সে কাউকেই কোন তোয়াক্কা করছেনা।
ফতুল্লা রেলষ্টেশন,সাজাহান রোলিং মিল এবং পাইলট স্কুলের আশপাশের সাধারন মানুষগুলোকে নাভিশ^াস করে তুলেছে এ সোর্স মামুন। পুলিশের সাথে সখ্যতা এবং পুলিশকে প্রচুর পরিমানে অর্থ কামিয়ে দেয়ার লোভে ফেলে সাধারন মানুষগুলোকে পুলিশের উপস্থিতির পাশাপাশি পুলিশের অনুপস্থিতিতেও ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এ সোর্স মামুন।
সোর্স মামুনের এরুপ কর্মকান্ড থেকে বাচঁতে ফতুল্লা রেলষ্টেশন,সাজাহান রোলিং মিলস ও পাইলট স্কুলের আশপাশের সাধারন মানুষ ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।