জাগো নারায়ণগঞ্জ:
নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার আভাস দিয়ে আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম, ‘শেষ হচ্ছে শূন্য শুল্কের দিন’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, প্রতিদিনকার ব্যবহার্য শত শত আমদানি পণ্যে নতুন করে শুল্ক বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
আগামী অর্থবছরের বাজেটেই আসতে পারে খাদ্যপণ্য, সার, গ্যাস, ওষুধ, শিল্পের কাঁচামাল, কৃষি উপকরণসহ বিভিন্ন খাতের অন্তত ৩৩৫টি পণ্যে ন্যূনতম এক শতাংশ হারে শুল্ক বসানোর ঘোষণা।
ফলে উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই সময়ে সব পণ্যে শুল্ক বসানোর উদ্যোগে বাজারে আরেক দফা দাম বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম আরেক দফা বাড়াতে তৎপর হবেন, যার প্রভাব সরাসরি পড়বে ভোক্তার ঘাড়ে।
তাদের মতে, শুল্ক নয় বরং নতুন করদাতা খুঁজে বের করে ব্যক্তিগত কর আদায় বাড়াতে হবে। সক্ষম অন্তত দুই কোটি ব্যবসায়ী রয়েছে, তাদের থেকে কর আদায় করা যায়।
বর্তমানে কোনো শুল্ক নেই এমন আমদানি পণ্যের সংখ্যা ৩৩৫টি। এসব পণ্যে ক্ষেত্রবিশেষে সম্পূরক শুল্ক, ভ্যাট, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বা উৎসে কর দিতে হলেও পণ্যগুলো সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে কোনো আমদানি শুল্ক দিতে হয় না।
কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলেছে, কোনো পণ্যেই শূন্য শুল্ক রাখা যাবে না। রাজস্ব বাড়াতেই হবে। এ জন্য সম্ভাব্য সব খাত থেকে কিছু না কিছু কর আহরণ করতে হবে।
অর্থনীতির আকার নিয়ে বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, ‘দেশের অর্থনীতির ৩০-৪০ শতাংশ সরকারি হিসাববহির্ভূত’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা এক কোটি হলেও আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন অর্ধেকেরও কম, মাত্র ৪০ লাখ।
দেশে সরকারি হিসাবের বাইরে থাকা অর্থনীতি ও জিডিপির অনুপাত ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। অর্থনীতির বিরাট এ অংশ গণনার বাইরে থেকে যাওয়ার কারণেই কর-জিডিপির অনুপাত বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না।
বাংলাদেশে ছোট ব্যবসা থেকে শুরু করে বড় অনেক অর্থনৈতিক কর্মকান্ড অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে যা সরকারি হিসাবের মধ্যে নেই। এখান থেকে কোনো রাজস্বই পায় না সরকার।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) হিসাবে দেশের অর্থনীতির আকার (জিডিপি) ৪৫৪ বিলিয়ন ডলার। এর বাইরে সরকারি হিসাববহির্ভূত অর্থনীতি রয়েছে জিডিপির ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। টাকার অংকে যা ১৩৬ থেকে ১৮০ বিলিয়ন ডলারের মতো।
প্রত্যাশা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় বাড়াতে না পারায় প্রতি অর্থবছরই সরকারের ঘাটতি বাজেটের আকার বড় হচ্ছে।
জিডিপি অনুপাতে রাজস্ব আদায়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান একেবারেই পেছনের সারিতে, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যেও সর্বনিম্ন।
এ অবস্থায় আইএমএফ থেকে ঋণ প্রাপ্তির শর্ত হিসেবে রাজস্ব-জিডিপির অনুপাত সাড়ে নয় শতাংশে উন্নীত করার শর্ত দেয়া হয়েছে।
এ শর্ত পরিপালনে রাজস্ব আয় বাড়ানোর বিষয়ে নিজেদের পরিকল্পনা তুলে ধরে এনবিআর।
এদিকে ভর্তুকি প্রসঙ্গে প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘আগের চেয়ে বাড়ছে ভর্তুকি’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভর্তুকি কমাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপ রয়েছে। অন্যদিকে বেশি ভর্তুকি দেওয়ার মতো অবস্থায়ও নেই সরকার। তারপরও আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাড়ছে ভর্তুকি ও প্রণোদনার পরিমাণ।
২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হওয়ার পর উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিভিন্ন খাতে বেশি ভর্তুকি দেওয়া যাবে না। একই সঙ্গে বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি কমানোর জন্য জোরালো পরামর্শ দিয়ে আসছে আইএমএফ।
কিন্তু যথাযথ ভর্তুকি ব্যবস্থাপনা তৈরি করতে না পারায় গতানুগতিকভাবেই ভর্তুকি বাড়ানোর পথে রয়েছে সরকার।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে মূল বরাদ্দ থেকে বাড়িয়ে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি ও প্রণোদনা বাবদ বরাদ্দের প্রস্তাব এক লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা করার পরিকল্পনা করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।
সবচেয়ে বেশি ৩৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ দেওয়া হতে পারে বিদ্যুৎ খাতে। আর কৃষি খাত বরাদ্দ পেতে পারে ২৫ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া রপ্তানি প্রণোদনায় সাত হাজার ৮২৫ কোটি, এলএনজি আমদানিতে।
বিদ্যুতের দাম বাড়বে বছরে চারবার, রপ্তানিতে প্রণোদনা কমবে, জ্বালানি তেলে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে না। তারপরও ভর্তুকি বাড়ছে।
খাদ্যে সাত হাজার কোটি, প্রবাসী আয় আনায় ছয় হাজার ২০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোকে ভর্তুকির টাকা পরিশোধ করতে না পেরে সরকার ইতিমধ্যে ১৫ হাজার কোটি টাকার বন্ড দিয়েছে।
ব্যাটারি রিকশা বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ নিয়ে যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘পুলিশ বক্সে আগুন গুলি’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের প্রতিবাদে রোববার ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন রিকশাচালকরা।
চালকদের দাবি, হুট করে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের সিদ্ধান্তে তাদের আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে গেছে। এজন্য তারা রাজপথে নেমেছেন।
এই বিক্ষোভ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে মিরপুর-১০, ১১, ১২ ও ১৪ নম্বর সেকশন এবং কালশী এলাকায়।
এতে দিনভর মিরপুরজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করে। দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকে এ এলাকায় যান চলাচল।
এছাড়া ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, জুরাইনসহ বিভিন্ন এলাকায়ও বিক্ষোভ করেন চালকরা।
এসব এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের সঙ্গে রিকশাচালকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া-পালটাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
বিক্ষুদ্ধ চালকরা বেশকিছু বাস, ট্রাক ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। কালশী পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়।
যাত্রাবাড়ীর গোলাপবাগ ট্রাফিক পুলিশ বক্স ও সায়েদাবাদ জনপথ মোড় পুলিশ বক্স ভাঙচুর হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জের পাশাপাশি টিয়ার শেল এবং রাবার বুলেট ছোড়ে।
এতে বিক্ষোভরত তিন রিকশাচালক আহত হন। গুলিবিদ্ধ হন এক পথচারী। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সংসদ-সদস্য এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা চালান। সংসদ-সদস্যের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে রিকশাচালকরা একে একে রাজপথ ছাড়তে থাকেন।
এব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়া নিয়ে সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসিকে নিয়ে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট এব্রাহিম রাইসিও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ানকে নিয়ে একটি হেলিকপ্টার দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকার পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে।
বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এ সময় রাইসের সঙ্গে ইরানের আরো কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় প্রেস টিভির খবরে একে হার্ড ল্যান্ডিং বলা হয়েছে। তবে কয়েক ঘণ্টা পরও হেলিকপ্টারটির খোঁজ পাওয়া যায়নি। ফলে যাত্রীদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা জানা যায়নি।
দুর্গম এলাকা ও দুযোর্গপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যহত হচ্ছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে বলা হচ্ছে, ৬৩ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট রাইসি আজারবাইজার সীমান্তের কাছে ইরানের একটি জলাধার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ফিরছিলেন।
পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের ভার্জাকন এলাকায় জরুরি অবতরণ করার সময় তার হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। ঘটনাটি ঘটেছে ভার্জাকন এবং জোলভা শহরের মধ্যে ডিজমার জঙ্গলে।
হেলিকপ্টারে আরও ছিলেন পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমতি এবং সেখানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে হাশেম ছিলেন।
খবরে বলা হয় রাইসি ইরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন।
ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, দেশটির টেলিভিশন কে বলেছেন কুয়াশাপূর্ণ আবহাওয়া ঘটনাস্থল দুর্গম এলাকা হওয়ায় উদ্ধার অভিযান বিলম্বিত হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট রাইসির হেলিকপ্টারের সঙ্গে আরও দুটি হেলিকপ্টার ছিল যারা নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছেছে।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম, ‘টঢ়ধুরষধ পধহফরফধঃবং’ বিধষঃয ৎরংবং ঁহঁংঁধষষু’ অর্থাৎ, ‘উপজেলা প্রার্থীদের সম্পদ অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী জনপ্রতিনিধি এবং তাদের নির্ভরশীলদের আয় ও সম্পদ পাঁচ বছরে বহুগুণ বেড়েছে এবং তাদের এই সম্পদ বেড়েছে ক্ষমতায় থাকাকালীন।
উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সম্পদ বৃদ্ধির সঙ্গে রাজনীতির যোগসূত্র রয়েছে এবং ক্ষমতা ও আয় বৃদ্ধির সঙ্গে রাজনীতির সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।’
টিআইবির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মোট প্রার্থীদের ৫৭ শতাংশেরও বেশি ব্যবসায়ী।
এ ব্যাপারে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা নির্বাচনকে বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করেন, অন্যদিকে জনপ্রতিনিধিরা তাদের অবস্থানকে আয় ও সম্পদ উন্নয়নের মাধ্যম হিসেবে দেখেন, কারণ জনস্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হয় না।
টিআইবি’র মতে, সরকারি পদে আগ্রহী প্রার্থীদের মধ্যে অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা রয়েছে, কারণ তারা এই পদকে আয় ও সম্পদ বাড়ানোর সুযোগ হিসেবে দেখেন।
টিআইবি দেখেছে, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ১১ হাজার ৬৬৬ শতাংশ এবং একজন নারী ভাইস-চেয়ারম্যানের আয় পাঁচ বছরে ১০ হাজার ৯০০ শতাংশ বেড়েছে।
প্রার্থীরা কেবল তাদের নিজস্ব আর্থিক অবস্থাই বাড়ায়নি, তাদের স্বামী/স্ত্রী এবং নির্ভরশীলদের আয় এবং সম্পদের হারও ঊর্ধ্বমুখী।
মিয়ানমার সীমান্তে সংঘাতময় পরিস্থিতি নিয়ে নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘রোহিঙ্গা গ্রামে আরাকান আর্মির হামলা ও অগ্নিসংযোগ’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সাথে সেখানকার সশস্ত্রবাহিনীর মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। প্রচন্ড গোলাগুলি ও মর্টার শেলের শব্দে কেঁপে উঠেছে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকার জনপদ।
রোহিঙ্গা মুসলিমদের কয়েকটি গ্রামে বিদ্রোহীরা হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এমন অবস্থায় মিয়ানমারে অবস্থানরত রোহিঙ্গা মুসলমানরা রয়েছেন চরম আতঙ্কে।
এ দিকে আরাকান আর্মি (এএ) বলেছে যে, শনিবার উত্তর রাখাইন রাজ্যের শহরে সরকারের কৌশলগত সামরিক কমান্ডের পতনের পর বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে বুথিডাং টাউনশিপের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে রয়েছে।
অন্য দিকে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) জানিয়েছে, আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের গ্রামে নিরীহ রোহিঙ্গা বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে।
এটি আরাকান আর্মির সন্ত্রাসবাদের পরিচয় ছাড়া আর কিছুই নয় বলে জানিয়েছে আরএসও।
আরএসও আরাকান আর্মিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করার জন্য জাতিসংঘ, ওআইসি ও আসিয়ানভুক্ত সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
একই সাথে নিপীড়িত জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার জন্যও আহ্বান জানিয়েছে আরএসও।
এদিকে, জান্তা বিমান বাহিনী আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণাধীন গ্রাম, হাসপাতাল, স্কুল ও ধর্মীয় স্থানসহ বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বোমাবর্ষণ করেছে বলে ইরাবতির খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভসা সেন্টারের অনিয়ম নিয়ে কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, ‘ভিএফএসে জিম্মি লাখো ভিসাপ্রার্থী’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নিয়ম অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে ইতালির ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া নিষ্পত্তি করার কথা থাকলেও তা করা হচ্ছে না।
অনেকে নয় মাস এমনকি ১৬ মাস পর্যন্ত অপেক্ষার অভিযোগ করেছেন। এমন লাখো ইতালি গমনেচ্ছু মানুষের ঘরে ঘরে এখন শুধুই কান্না, হতাশা আর হাহাকার।
গত ২৭শে মার্চ ঢাকায় নিযুক্ত ইতালিয়ান রাষ্ট্রদূতের দেওয়া তথ্য মতে, ২০২২ সালের আগস্ট থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে এক লাখ ১১ হাজার বাংলাদেশি ভিসাপ্রার্থীর পাসপোর্ট।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ভিসা প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠান ভিএফএস গ্লোবালের অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে এই দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টি হয়েছে।
এভাবে ভিএফএসের কাছে জিম্মি হয়ে অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছে এক লাখের বেশি ভিসাপ্রত্যাশী ও তাঁদের পরিবার।
সাধারণত ইতালি গমনেচ্ছু ব্যক্তিদের মধ্যে ৬০ শতাংশ কৃষি ভিসার আবেদন করে থাকেন। বাকি ৪০ শতাংশ স্পন্সর ভিসার।
কৃষি খাতে ভিসার জন্য ১৪ লাখ টাকা এবং স্পন্সর ভিসার জন্য ১৯ লাখ টাকা লাগে। তবে নুলস্তা পেতে সংশ্লিষ্ট কম্পানিতে ৫০ শতাংশ টাকা জমা দিতে হয়।
সে হিসাবে এরই মধ্যে নুলস্তা পেতে ইতালিতে চলে গেছে প্রায় ৮০ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় আট হাজার ৮৮০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১১০ টাকা হিসাবে)।
এ ছাড়া ভিএফএসে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাবদ এসব কর্মীর খরচ হয়েছে অন্তত ২২০ কোটি টাকা। এ ছাড়া অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে আরো কমপক্ষে এক হাজার কোটি টাকা দালালদের পকেটে ঢুকেছে বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।
এভাবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ইতালিতে চলে গেলেও দেশে পড়ে আছেন হতভাগ্য ভিসাপ্রার্থীরা।
সাংসদের নিখোঁজ হওয়া নিয়ে ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম, ‘ভারতে গিয়ে হদিস নেই এমপি আজিমের’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভারতে চিকিৎসা করাতে এসে নিখোঁজ হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
তিন দিন ধরে তাকে ফোনে বা কোন মাধ্যমে খুঁজে না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন তার পরিবার।
এ ঘটনায় শনিবার কলকাতার বরাহনগর থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।
এদিকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে তার সর্বশেষ অবস্থান ভারতের মোজাফফরপুর ছিল বলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে।
ডিবি প্রতিনিয়ত ভারতীয় পুলিশের সাথে যোগাযোগ রাখার কথা জানিয়েছে।
এদিকে এমপি আনোয়ারুল আজিমের নিখোঁজ হওয়ায় উদ্বেগে রয়েছেন তার পরিবার এবং স্বজনরা।
গত ১১ই মে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম কানের চিকিৎসা করাতে ভারতের কলকাতায় যান বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
সবশেষ গত বৃহস্পতিবার তাদের সাথে কথা হয়েছে। এরপর থেকে তিনি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছেন।