জাগো নারায়ণগঞ্জ
নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলীর পশ্চিম গোপালনগরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দীল মোহাম্মদ দীলন বাহিনীর হামলায় দুই সহোদর সাজ্জাদ ও শুভ রক্তাক্ত জখম হয়েছে। মুর্মুর্ষ অবস্থায় স্বজনরা আহতদের উদ্ধার করে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে আহতদের চাচা মোঃ মনির হোসেন বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। মৃত আব্দুল হামিদের পুত্র মোঃ মনির হোসেন উল্লেখ করেন, বিবাদী-এনায়েত উল্লাহ পিতা: আফজাল হোসেন ভূইয়া, দিল মোহাম্মদ পিতা: মৃত নুর মোহাম্মদ ভূইয়া,আবু সাঈদ পিতা: আলী মেম্বার, পলক পিতা: আলী মেম্বার, আবু সিদ্দিক, পিতা: দিল মোহাম্মদ, সর্ব সাং- পশ্চিম গোপাল নগর, বক্তাবলী, থানা: ফতুল্লা, জেলা: নারায়ণগঞ্জসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন বিবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করিতেছি যে, উল্লেখিত বিবাদীরা খুবই দুষ্কৃতিকারী ও খারাপ প্রকৃতির লোক। গত ০৮/০৯/২০২৪ইং তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ০৬:০০ ঘটিকার সময় গোপালনগর নাজমুন্নেছা স্কুল মাঠে খেলা শেষে খেলার বিষয় নিয়া ৫নং বিবাদীর সহিত আমার ভাতিজা- সাজ্জাদ ও শুভ দ্বয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও বাকবিতন্ডা হয়। পরবর্তীতে গত ০৯/০৬/২০২৪ইং তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ০৭:৩০ ঘটিকার সময় আমার ভাতিজা- শুভ ও সাজ্জাত উভয় পিতা: আমির হোসেন তাহাদের মুরগির ব্যবসার ২,২২,০০০/- (দুই লক্ষ বাইশ হাজার) টাকা নিয়া ফতুল্লায় আসার পথিমধ্যে বক্তাবলী লঞ্চঘাটে পৌঁছাইলে উল্লেখিত সকল বিবাদীরা ধারালো রামদা, ছুরি, লোহার রড, পাইপ সহ বিভিন্ন লাঠি সোঠায় সজ্জিত হইয়া বে-আইনী জনতাবদ্ধে আমার ভাতিজাদ্বয়ের গতিরোধ করিয়া পূর্বের কথা কাটাকাটি ও বাকবিতন্ডাকে কেন্দ্র করিয়া অতর্কিতভাবে হামলা শুরু করে। ১নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা ধারালো রাম দা দিয়া আমার ভাতিজা- শুভ (২৩) কে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া এলোপাথারীভাবে কোপাইয়া মাথার ওপরে একাধিকস্থানে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। ভাতিজা শুভ এর ডাক-চিৎকারে পাশে থাকা ছোট ভাতিজা- সাজ্জাদ আগাইয়া আসিলে, ২নং বিবাদী দিল মোহাম্মদ তাহার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে সাজ্জাদের মাথা লক্ষ করিয়া কোপ দিলে, সাজ্জাদ তাহার দুই হাত দিয়া ঠেকাইলে সাজ্জাদের দুই হাতের (কজি ও কনুই এর মধ্যবর্তী স্থানে) কাটা গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। আমার ভাতিজারা ররক্তাক্ত জখম প্রাপ্ত হইয়া মাটিতে লুটাইয়া পড়িলে ২নং বিবাদীর হুকুমে ৩, ৪, ৫নং বিবাদী ও অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা তাহাদের হাতে থাকা লোহা রড, পাইপসহ বিভিন্ন লাঠি সোঠা দিয়া আমার ভাতিজাদ্বয়ের মৃত্যু নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে এলোপথারীভাবে উপর্যুপরী আঘাত করিয়া আমার ভাতিজাদ্বয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক নীলাফোলা জখম সহ রক্তাক্ত জখম করে। ঘটনার সময় ৩ ও ৪নং বিবাদীদ্বয় ভাতিজা-শুভ এর পরিহিত প্যান্টের ডান পকেটে থাকা মুরগি ব্যবসার ২,২২,০০০/- (দুই লক্ষ বাইশ হাজার) টাকা নিয়া যায়। আমার ভাতিজাদ্বয়ের ডাক-চিৎকারে স্থানীয় লোকজন আগাইয়া আসিতে থাকিলে বিবাদীরা আমার ভাজিতাদ্বয়কে বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি ও খুন-জখম করিয়া প্রাণে হত্যা করার হুমকি দিয়া ঘটনাস্থল হইতে চলিয়া যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন আগাইয়া আসিয়া আমার ভাতিজাদ্বয়কে ঘটনাস্থল হইতে উদ্ধার নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়া চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে অফিসার ইনচার্জের হস্তক্ষেপ কামনা করেন মনির হোসেন।