এ দেশের সরকারি চাকরিজীবীরা একেকজন বিল গেটস, ইলন মাস্ক, মুকেশ আম্বানি, গৌতম আদানি। সাধারণ সরকারি অফিসারদের ছেলের যদি এ অবস্থা হয়, বুঝেন।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সরকারি চাকরিজীবীদের ব্যাপারে এভাবেই মন্তব্য করেছেন ফারিবি চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি। এর প্রেক্ষাপট মূলত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমানের (এনবিআর) ছেলের ‘ছাগলকাণ্ড’। ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে বাবাকে উপহার দিতে ১২ লাখ টাকায় ছাগল কিনেছেন তার ছেলে ইফাত।
তবে সময়ের সঙ্গে ঘোলাটে হয় পরিস্থিতি। পরিবর্তন হয়ে যায় পরিচয়। সম্প্রতি সেই এনবিআর কর্মকর্তা যুগান্তরকে জানান, ইফাত তার ছেলে নন। এমনকি আত্মীয় বা পরিচিতও নন। তাহলে এই ইফাত কে?
ইফাতের পরিচয় খোলাসা করেছেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী। তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইফাত তার মামাতো বোনের সন্তান। আর মতিউর রহমানই তার বাবা।
নিজাম উদ্দিন বলেন, ইফাত এনবিআর সদস্য মতিউর রহমানের দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে। ধারণা করছি, রাগ করে মতিউর রহমান ইফাতের সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করেছেন।
এনবিআরের সদস্য মতিউর দুটি বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রীর নাম লাইলা কানিজ। যিনি বর্তমানে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান মুশফিকুর রহমান ইফাত। ফেসবুকেও বাবা মতিউর রহমানের সঙ্গে ইফাতের যুগলবন্দি বেশ কয়েকটি ছবিও দেখা গেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন মতিউর রহমান। পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনে (পিকেএসএফ) কর্মজীবন শুরু হয় তার। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত কাজ করেন সেখানে। সর্বশেষ উপ-ব্যবস্থাপক পদ থেকেই ১৯৯৩ সালের ১ এপ্রিল যোগ দেন কাস্টমস বিভাগে। ২০১৫ সালে পদোন্নতি পেয়ে কমিশনার হন তিনি।
২০২১ সালের ১২ আগস্ট তাকে কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালে সদস্য (টেকনিক্যাল) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত।