প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
“সোনারগাঁওয় আলোচিত জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাতিজার হাতে চাচা খুন” এর প্রধান আসামী হাসানসহ এৎাহার নামীয় আসামী আবদুর রবকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ১১। শুক্রবার ১২ জুলাই ঢাকার ডেমরা থানাধীন ডগাইর পূর্বপাড়া, ৬৬নং ওয়ার্ড, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকা হতে আসামী’দ্বয়কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব।
ও্যাবের এ এসপি সনদ বড়–য়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে,গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার মামলা নং-১৪, তাং- ০৯/০৭/২০২৪ খ্রিঃ, ধারা- ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩০৭/৩২৫/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড-১৮৬০ এর এজাহারনামীয় আসামী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার সনমান্দি ইউনিয়নের সনমান্দি পূর্বপাড়ার জয়নাল আবেদীন ও আব্দুর রবের মধ্যে বাড়ির জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায়, গত ৫ জুলাই শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে জয়নাল আবেদিন তার একটি রান্নাঘর নির্মাণের কাজ করছিলেন। এ সময় আব্দুর রব জয়নাল আবেদীনকে বাধা দেয়। তাদের মধ্যে বাগবিতন্ডার একপর্যায়ে আব্দুর রবের ছেলে কাশেম ও হাসান ঘর থেকে গ্যাসের পাইপ ও লোহার রড নিয়ে জয়নাল আবেদিনকে পিটিয়ে আহত করেন। এমন সময় নিহত ভিকটিম নাসির উদ্দীন জয়নাল আবেদীন এর ডাক-চিৎকার শুনে এগিয়ে আসলে তার উপরও অতর্কিত হামলা চালানো হয়। ভাতিজা হাসানের হাতে থাকা গ্যাসের পাইপ দিয়ে তার চাচা নাসির উদ্দীনের মাথায় আঘাত করা হয়। এরপর এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তাকে রক্তাক্ত জখম করা হয়। এ সময় তাকে বাঁচাতে তার স্ত্রী আবেদা বেগম এগিয়ে আসলে তাকেও রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করা হয়। এমন সময় জয়নাল আবেদীন এর স্ত্রী জায়েদা বেগম তাদেরকে বাঁচাতে গেলে বিবাদীরা লোহার রড দিয়ে তাকেও পিটিয়ে আহত করে এবং তার পড়নে থাকা কানের দুল ও গলার চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আহতদের ডাক-চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এসে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রোগীদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করলে তাদেরকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে ভিকটিম জয়নাল আবেদিনের স্ত্রী জায়েদা বেগম বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ জুলাই রোজ মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে ভিকটিম নাসির উদ্দীনের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে বাদীর আবেদনক্রমে হত্যার চেষ্টা মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী’দ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য সোনারগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।