ফতুল্লা প্রতিনিধিঃ কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক শ্রী মাখন চন্দ্র সরকার এলাকার সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে তার বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ এনে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ ও মিথ্যা হামলা মামলা দেওয়ার হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন কুতুবপুর ইউনিয়নের সর্বস্তরের সাধারণ জনগন। ২ সেপ্টেম্বর রোজ সোমবার সাইনবোর্ড পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় আব্দুর রহমান বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রায় কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ এ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন এই মাখন চন্দ্র সরকার একজন ভূমিদস্যু সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ, নিজেকে সংখ্যালঘু পরিচয় দিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসের রাম রাজত্ব কায়েম করেছে। মাখন এর বিরুদ্ধে রয়েছে ফতুল্লা থানায় ও নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যলয়ে প্রাই অর্থ শতাধিক অভিযোগ, রয়েছে মামলার পাহাড়, মানববন্ধনে অনেক বক্তারাই বলেন মাখন এর কাছ থেকে হিন্দুরাই রক্ষা পায়নি। রনজিৎ,জিতেন বাবু নামের হিন্দু সম্প্রদায় বলেন আমরা হিন্দু সম্প্রদায় তারপর আমরা মাখনের কাছ থেকে হয়েছি হামলা মামলার শিকার, মাখন আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে, এলাকায় রাম রাজত্ব কায়েম করেছে। আমাদের জায়গা জমি সহ চারটি দোকান দখল করে ১২ বছর ধরে তার থেকে টাকা উত্তোলন করে খাচ্ছে এই মাখন সরকার। মাখন আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে, প্রভাব বিস্তার করে এলাকায় গড়ে তুলেছে অপরাধ জগতের সাম্রাজ্য, তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই তাকে তিনি মিথ্যা মামলা হামলা সহ নানাভাবে হয়রানি করতো। ৫ ই আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যে সকল ছাত্ররা সাইনবোর্ড এলাকায় আন্দোলন সংগ্রাম করছিল, তাদেরকে মাখন ও তাদের লোকজন লাঠি সোটা নিয়ে দাওয়া পাল্টা ধোয়া দেয়। এতে করে অনেক ছাত্ররাই আহত হন। তাছাড়া ৫ই মে হেফাজত ইসলামের শাপলা চত্বরের ঘটনায় অর্থের যোগান দাতা হিসেবেও মাখন চন্দন সরকার কে আঁকিত করেছেন এলাকাবাসী। মাদক ব্যবসায়ী শ্রেষ্ঠ দাতা হিসেবে মাখন এর রয়েছে বেশ নাম ডাক। মানববন্ধনে সকল মানুষের একটাই দাবি সংখ্যালঘুর নামে মাখন চন্দ্র সরকার যে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজী ভূমিদস্যুতা করেছে তা ঢাকার জন্যই নিজেকে চিনি সংঙ্গালুঘ হিসাবে পরিচয় দিয়ে বেড়াচ্ছেন। অচিরে এই সন্ত্রাসী মাখনকে গ্রেফতার করে তাকে বিচারের দাবি জানায়।মানববন্ধনে অন্যান্য মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি আবুল হোসেন পায়েল, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, আলমগীর হোসেন রনি সহ-সভাপতি বৃহত্তর সাইনবোর্ড ব্যবসায়ী সমিতি, জামান মিজি,কাদের মুন্সি, নাসির মুক্তি, রনজিত, বাতেন বাবু,জহিরুল ইসলাম মাসুম, নূর হোসেন, সাইফুল ইসলাম নাদিম সহ আরো অনেকেই।