ষ্টাফ রিপোর্টার
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নের গংগানগরে চিকিৎসার নামে জাহাঙ্গীর কবিরাজের অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
শনিবার (১৪ জুন) সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, ডিক্রীরচর গ্রামে প্রথমে তার পৈত্রিক বাড়ীতে কবিরাজের নামে নারী পুরুষের চিকিৎসার নামে অনৈতিক কর্মকান্ড চালু করে আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার নোয়াব মিয়ার ছোট ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন।
গ্রামবাসীর প্রতিবাদের কারনে তৎকালীন আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি ভন্ড কর্মের কারনে গ্রাম ছাড়া করেন।পরে আশ্রয় নেন পাশ্ববর্তী বক্তাবলী ইউনিয়নের গংগানগর গ্রামে।সেখানে ২০১৫ একতলা ভবন নির্মাণ করে স্থায়ীভাবে আসন গড়ে তোলে পূর্বের ন্যায় কবিরাজি শুরু করেন।প্রতি বৃহস্পতিবার ও শনিবার সন্ধ্যার পর হতে ভোর পর্যন্ত বিপুল পরিমান নারী পুরুষের সমাগম হয়।
এলাকাবাসীর দাবী এখানে কবিরাজি চিকিৎসার নামে চলে অনৈতিক কার্যকলাপ।তাকে সহযোগিতা করে ২ জন পুরুষ।
ঘরে প্রবেশ করে দেখা যায়, দেয়ালে টাইলসে আল্লাহর ৯৯ টি নাম,আর রহমান,সুরা ইয়াছিন লেখা রয়েছে।
এলাকার বাসিন্দা বাদশা মিয়া ও বিপ্লব জানান,জাহাঙ্গীর কবিরাজ বিয়ে করেনি।শুনেছি ঝাড়ফুক দেয়।প্রচুর মহিলা পুরুষ আসে।
সাবেক ইউপি মেম্বার সিরাজুল ইসলাম সিরু বলেন,এখানে গরু,ছাগল,মুরগিও আসে এর আগেও বালুচরের একজন লোককে মেরে ফেলেছিল চিকিৎসার নামে।আমরা চাই জাহাঙ্গীর কবিরাজের যেনভন্ডকর্ম বন্ধ করা হয়।
স্থানীয় পঞ্চায়েত কমিটির প্রধান জাকির মাদবর বলেন,জাহাঙ্গীর খারাপ কাজ করে শুনি নাই।যদি খারাপ কাজ করে থাকে আপনারা পুলিশে ধরিয়ে দেন।
এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীর কবিরাজ বলেন,আমি ৩ বার হজ্ব করেছি।সৈয়দপুর লাইলী পাগলনী মাজারের মুরিদ।সে হিসেবে কেউ আসলে একটু ঝাড়ফুক দেই।যে কুচক্রী মহল বলেছে অনৈতিক কর্মকান্ড হয় তা ঠিক না।মাঝে মধ্যে আমার আত্নীয় স্বজনরা আসে।আজও আমার একবোন এসেছে।