Views: 4
ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জের এক সময়ের আতংকবাজ আজমেরী ওসমানের সেকেন্ড ইন কমান্ড ও অস্ত্র ভান্ডারের অন্যতম সৈনিক পলাতক টোকাই নোয়াখাইল্লা নাসিরের অস্ত্র ভান্ডার তার দুই খলিফা ইয়ামিন-পলাশের জিম্মায় রয়েছে এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের।
একাধিক তথ্যানুসন্ধানে জানা যায় যে, এ সময়ে দোকান বাকী দিতে না পারা ইয়ামিন-পলাশ টোকাই নাসিরের আর্শীবাদে এখন বনে গেছে বিশাল সম্পত্তির মালিক। ইয়ামিন-পলাশ ইতিমধ্যেই দুবাইতে ইয়ামিনের বোনের মাধ্যমে গার্মেন্টস ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। আর তাদের ব্যবসা পরিচালনা অন্যতম পার্টনার সুতা চোরা কারবারি কালোবাজারি রাজিব। শুধু ইয়ামিন-পলাশ নয়,ইসদাইর এলাকার কিশোরগ্যাং লিডার, হত্যা মামলা সহ একাধিক মামলার আসামি ইভনের নিকটেও রয়েছে তাদের বিশাল অস্ত্র ভান্ডার।
সুত্রে জানা যায় যে, আজমেরী ওসমান নাম ব্যবহার করে ইয়ামিনের বড় ভাই এলাকায় জায়গার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতো। সেই সাথে বাউল সংগীত পরিচালনার নামে অবৈধ জুয়ার আসর প্রতিদিনই পরিচালনা করে আসছে ইয়ামিন সিন্ডিকেট। আজমেরী ওসমানের অন্যতম সেনাপতি নাসিরের পৃষ্ঠপোষকতায় সিনসিয়ার গার্মেন্টস সংলগ্ন রাস্তায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা সকল দোকানের ভাড়া নিয়ন্ত্রণ করতো ও জুয়ার আসর বসাতো ইয়ামিনের বড় ভাইয়ের নেতৃতে। আর এখান থেকে বিশাল অংকের টাকা নাসির কাছে যেত।
স্থানীয়দের দাবী, ৫ আগষ্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার জয়ের পর দেশান্তর হয়েছে নারায়ণগঞ্জে অপরাধ জগতের মুর্তিমান আতংক আজমেরী ওসমান আর পিঠ বাচাঁতে গা ঢাকা দিয়েছে তার সেকেন্ড ইন কমান্ড টোকাই নাসির। কিন্তু এখনও এলাকাতে বীরদর্পে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন টোকাই নাসিরের অস্ত্র ভান্ডারের রক্ষক ইয়ামিন-পলাশ ও রাজিবগং। তারা পুর্বের ন্যায় আবার সুসংগঠিত হওয়ার আপ্রান চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন বলে জানান স্থানীয়রা। তাদের সুসংগঠিত হওয়াটা এলাকাবাসী অনেকটাই ভীত হয়ে পড়ার উপক্রমে দেখা দিয়েছে। কারন টোকাই নাসিরের স্পর্শে সে সময়ে তারা পুরো এলাকা জুড়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলো। আবারও কি পুর্বের ন্যায় আগামীতেও এ চক্রটির মাধ্যমে শান্তিপ্রিয় মানুষগুলো শান্তি বিনষ্ট হওয়ার আতংকে রয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের দাবী,আজমেরী ওসমান ও টোকাই নাসিরের রক্ষিত অস্ত্র নিয়ে আবারও কি এলাকাতে ইয়ামিন-পলাশ ও রাজিবগং সাধারন মানুষের ক্ষতিসাধন করবে এটাই অনেকের মাঝে আতংকে রুপ নিয়েছে। তাই ইসদাইরসহ আশপাশের সাধারন শান্তিপ্রিয় জনগন ইয়ামিন-পলাশ ও রাজিবগংদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে আজমেরী ওসমান ও টোকাই নাসিরের রক্ষিত অস্ত্রগুলো উদ্ধারের জন্য র্যাব-পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।