সাবেক নাসিক মেয়র আইভী কাশিমপুর কারাগারে থাকলেও বসে নেই জেলায় দায়িত্বরত গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক টিম। তাদের তালিকাকে পুনরায় যাচাই–বাছাই করে অপারেশন ডেভিড হান্ট অভিযান পরিচালনা করবে বলে জানান। তবে ইতিমধ্যে নাসিক ২৩ নং ওর্য়াডে যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছেন। যেকোন প্রকার অপরাধ দমনে কঠোর অবস্থানে যৌথবাহিনী।
সাবেক নাসিক মেয়র আইভী ৭ টি মামলা কাঁধে নিয়ে কাশিমপুর কারাগারে জীবন যাপন করছে। যে বটগাছের ছায়ায় জিরো হতে কোটিপতি বনে যাওয়া ঠিকাদারদের তালিকায় বন্দর অঞ্চলের প্রায় ২ ডজনের বেশি। যারা গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি ও তালিকায় রয়েছে। রত্না এন্ট্রারপ্রাইজের, জাকিয়া, মুনিয়া এন্ট্রারপ্রাইজের প্রোঃ জাকির হোসেন, এ কে এম আবু সুফিয়ান। সুফিয়ানের পারসোনাল লোক ও আইভীর আর্শিবাদ পুষ্ট হয়ে এড. শাখাওয়াত হোসেন, শুক্কুর প্রধান অল্পদিনের মধ্যে আলাউদ্দিনের চেরাগ পেয়েছে।
ঠিকাদারী কাজের ফাঁকে বেছে নিয়েছে অন্য ও ভিন্ন পন্থা। যা কোন ঠিকাদারের মাথায় আসেনি। নাসিক ১৯–২৭ নং ওর্য়াডের ড্রেনের ময়লা পরিস্কারের কাজটি। যে ময়লা পরিস্কারের ( এনজিও) বার্ষিক ১ হাজার টাকা সিটি করপোরেশনে জমা হয়। সিকিউরিটি মানি হিসাবে ২৫ হাজার টাকা। শুধু বন্দর নয় শহরে করতেন সবচেয়ে বেশি কাজ। যার ছায়ায় আশ্রয়ে জিরো হতে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। সেই আবু সুফিয়ান পলাতক ও আইভী কাশিমপুর কারাগারে থাকলেও কবির, মুকুল, মামুন, শুক্কুর প্রধান, শাখাওয়াত হোসেন, তার ভাই শাহীন, রসুলবাগ এলাকার আলমগীর, ইকবাল, পৌর যুবলীগের সহ সভাপতি শরীফ হোসেন, আনোয়ার হোসেন, রতন স্যার, মিয়া বাবু, হিমেল খান, আকিল, প্রকাশ্য দিবালোকেও ঘুরছে কিভাবে এমনই প্রশ্ন সচেতন মহলের। যার আর্শিবাদে আজ কোটিপতি তাকেই ভুলে গেছেন ঠিকাদাররা।
আবু সুফিয়ান ও আইভীর আর্শিবাদে একজন নন ২ ডজনখানিক ঠিকাদার সফল মানুষ হিসাবে ঘরে তুলছে। তার বর্তমান চলাফেরা দেখে এলাকাবাসী অনেকটা হতভম্ব হয়ে পরে। এত টাকা ও অর্থ সম্পদের মালিক হলো কিভাবে। মেয়র আইভীর হাত বটগাছের ছায়া যে এত পরিবর্তন করতে পারে তা জানা ছিল না। ঠিকাদার শাখাওয়াত হোসেন, শুক্কুর প্রধান, আকিল, আবু কালাম, হুমায়ন কবির এ্যালিন, আনোয়ার হোসেন আনু, হিমেল খানদের অপারেশন ডেভিড হান্ট অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার পূর্বক জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসবে আবু সুফিয়ান ও আইভীর নানা প্রকার অজানা তথ্য। দুদকের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।