প্রেস বিজ্ঞপ্তি
আজ ১৫ ডিসেম্বর,২০২৪ বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি ছাত্রনেতা ফারহানা মানিক মুনা ও সাধারণ সম্পাদক ছাত্রনেতা সৃজয় সাহা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, গত ১২ ডিসেম্বর সকালে দেওভোগ পাক্কা রোড নিবাসী শিক্ষার্থী সীমান্ত বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়ার পথে মর্গ্যান স্কুল সংলগ্ন রোডে ছিনতাইয়ের শিকার হয়। ২দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে সীমান্ত গতকাল ১৪ ডিসেম্বর রাত ১০টায় মৃত্যুবরণ করে।
এই ঘটনা নারায়ণগঞ্জ শহরে নতুন নয়। হরহামেশাই শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। সকাল-রাতে ছিনতাইয়ের শিকার হতে হচ্ছে নারায়ণগঞ্জবাসীকে। বহু শিক্ষার্থীকে সকালে তাদের পড়াশুনার জন্যে বাইরে যেতে হয় এবং রাতে ফিরতে হয়৷ সীমান্তের ক্ষেত্রেও এমনটিই ছিলো। ক্লাশ করতে ঢাকার উদ্দেশ্যে বের সীমান্ত ছিনতাইয়ের শিকার হয় এবং ছুরিকাহত হয়ে মারা যায়। কয়েকবছর আগে ২০১৭ সালে একইভাবে ছিনতাইয়ের কবলে পরে নিহত হন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ফতুল্লা থানার সংগঠক তরুণ সাংবাদিক শাহরিয়াজ শুভ্র। এতো বছরেও শহরের উন্নতি ঘটেনি। বরং হয়েছে অবনতি।
শ্রমিক অঞ্চলগুলোতে শ্রমিকদের অর্থ ছিনিয়ে নেয়া, জখম হওয়া, রিক্সা-সিএনজিচালকের মৃত্যু এসব শহরের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
এমনকি গত ৯ ডিসেম্বর, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে হামলার শিকার হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
একসময়, গডফাদারের এই শহর ছিলো সন্ত্রাসের আতুরঘর। কিন্তু অভ্যুত্থান পরবর্তী এই সময়ে জেলা গডফাদারমুক্ত হয়েছে তবে এসকল অপরাধের শেল্টার হাউজ কারা হচ্ছে তা ই আজ জনতার প্রশ্ন। আমরা নাগরিক নিরাপত্তা চাই, স্বস্তিতে-নির্ভয়ে নিজ জেলায় বসবাস করতে চাই।
আমরা সীমান্ত হত্যার বিচারের দাবি জানাই। পাশাপাশি চাই শহরের নিরাপত্তা। এই ছিনতাইয়ের উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজন প্রশাসনিক কঠোর অবস্থান। ছিনতাই উপদ্রব রুখতে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি করতে হবে। ছিনতাইয়ের স্পট চিহ্নিত করে সেখানে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে এবং ছিনতাইকারী-ডাকাত এদের রাজনৈতিক শেল্টারগুলো খুজে বের করে যথাযথ আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করে বিগত সকল ছিনতাই-ডাকাতির ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আওতায় আনতে হবে।