জাগো নারায়ণগঞ্জ:
ফতুল্লা থানাধীন আশপাশ এলাকায় এক নতুন আতংকের নাম হয়ে দাড়িয়েছে মো.মামুন ওরফে সোর্স মামুন। নিজে একটি হোন্ডা চুরির মামলার ওয়ারেন্ট মাথায় নিয়ে ঘুরলেও থানা কতিপয় অর্থলোভী পুলিশ সদস্যকে নিয়ে মহাব্যস্ত সময় পার করছেন বিভিন্ন ওয়ারেন্টের আসামীকে ধরাতে আর মাদক দিয়ে সাধারন মানুষকে হয়রানী করতে। ফতুল্লা রেলষ্টেশন,সাজাহান রোলিং মিলসসহ কয়েকটি স্থানে মামুনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষগুলো। এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে সোর্স মামুনের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তরা মুখ খুলতে শুরু করেছে।
মুঠোফোনে অত্র প্রতিবেদককে অনেকে জানান, সোর্স মামুন দুই স্ত্রীকে দুইস্থানে রেখে সংসার করলেও স্থানীয় নিরীহ মানুষগুলো নাভিশ^াস করে তুলেছে। ইয়াবা ব্যবসায়ী মানিককে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতারের ভয়ভীতি প্রদান করে তার স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করে সোর্স মানিক। দুই স্ত্রীর একজন শিয়াচর এলাকায় বসবাস করলেও অপর স্ত্রী ধর্মগঞ্জ এলাকায় বসবাস করে। এ স্ত্রীকে দিয়ে হোরোইনের ব্যবসা করান সোর্স মামুন। ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের একদিন পর ফতুল্লার সাহারা সিটি মাঠ এলাকায় আবদুল্লাহ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে ফতুল্লা মডেল থানার একজন সহকারী উপপরিদর্শকের কথা বলে সাড়ে ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় সোর্স মামুন। শুধুমাত্র পুলিশের ভয় দেখানোর কারনে উক্ত ভুক্তভোগী আবদুল্লাহ কোন পুলিশী ঝামেলায় যেতে রাজি হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফতুল্লা রেলষ্টেশন,সাজাহান রোলিং মিলস এলাকার আশপাশের অনেক বাসিন্দা জানান,থানা পুলিশের সোর্স হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত করছে এ মামুন। একটি হোন্ডা চুরি মামলায় ওর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্টও রয়েছে। অথচ থানার একজন এএসআই এবং থানা অধীনস্থ হাজিগঞ্জ ফাড়ির একজন এসআইয়ের সাথে দিব্ব্যি ঘুরে বেড়ালেও ওকে ওয়ারেন্টের বলে আটক করছেনা পুলিশ। আর এ সাহসকে পুজি করে মামুন এলাকার নিরীহ মানুষগুলো মাদক দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে হুমকী দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সন্ধ্যা নামলেই হাজিগঞ্জ ফাড়ির উক্ত এসআই ও থানার এএসআইকে নিয়ে প্রতিদিনই এ সকল এলাকাতে মাদক উদ্ধারের অভিযানের নামে নিরীহ মানুষকে আটক করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এ সোর্স মামুন। সোর্স হিসেবে পুলিশের সাথে সখ্যতা থাকায় স্থানীয়রা মামুনকে কিছু বলতে সাহস পায়না। তারা আরও বলেন, বিভিন্ন মাদক স্পট থেকে নিয়মিতভাবে মাসোহারা আদায় করায় উক্ত মাদক স্পটগুলোতে পুলিশকে নিয়ে যায়না। সোর্স মামুনের অধীনে অত্র এলাকাসহ আশপাশে একাধিক মাদক স্পট রয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত মাদক সেবনকারী এবং নিরীহ মানুষগুলো কোমড়ে মাদক দিয়ে পুলিশ দিয়ে নিয়মিতভাবে হয়রানী করছে এ মামুন। ফতুল্লা থানায় সোর্স মামুনের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা থাকার ফলেও সে কাউকেই কোন তোয়াক্কা করছেনা।
ফতুল্লা রেলষ্টেশন,সাজাহান রোলিং মিল এবং পাইলট স্কুলের আশপাশের সাধারন মানুষগুলোকে নাভিশ^াস করে তুলেছে এ সোর্স মামুন। পুলিশের সাথে সখ্যতা এবং পুলিশকে প্রচুর পরিমানে অর্থ কামিয়ে দেয়ার লোভে ফেলে সাধারন মানুষগুলোকে পুলিশের উপস্থিতির পাশাপাশি পুলিশের অনুপস্থিতিতেও ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এ সোর্স মামুন।
সোর্স মামুনের এরুপ কর্মকান্ড থেকে বাচঁতে ফতুল্লা রেলষ্টেশন,সাজাহান রোলিং মিলস ও পাইলট স্কুলের আশপাশের সাধারন মানুষ ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।