জাগো নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের আলীরটেক গ্রামের প্রধান ঈদগাহ ভেংঙে মসজিদ নির্মাণে পাঁয়তারা করছে একটি প্রভাবশালী মহল।
এ সংবাদ প্রকাশ হলে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে তীব্র অসন্তোষ।
জানা যায়, আলীরটেকে ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন একটি দোতলা মসজিদ রয়েছে।মসজিদের কুল ঘেষে ঈদগাহ মাঠের দেয়াল রয়েছে।
তা সত্বেও ঈদগাহ ভেংঙে আরেকটি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ায় এলাকাবাসী উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
এলাকাবাসী জানান, আলীরটেক গ্রামে একটাই ঈদগাহ। এর অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন সময় সরকারি বরাদ্ধ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ঈদগাহ সংস্কারের জন্য কয়েক মাস আগে জেলা পরিষদের মাধ্যমে বরাদ্ধ আসে। এই সরকারি বরাদ্ধকৃত টাকায় ঈদগাহ মাঠের বাউন্ডারী দেয়াল,মিম্বর নির্মান করা হয়। ৪/৫ গজের মধ্যে আরেকটি নতুন মসজিদ নির্মাণ বিতর্কিত সিদ্ধান্ত বলে দাবি করেন সচেতন মহল । তাছাড়া পাশাপাশি দুটি মসজিদ হলে এখানকার মুসল্লীদের মাঝেও বিভেদ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। এলাকাবাসী আরও জানায়, ঈদগাহ ভেংঙে মসজিদ নির্মিত হলে ঈদের নামাজ কোথায় পড়বে তারা। এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির লক্ষে সকলের নিষেধাজ্ঞা স্বত্ত্বেও তারা এই মসজিদ নির্মাণের পায়তারা করছেন একটি কুচক্রী মহল। মসজিদের পাশে আরেকটা মসজিদ নির্মাণের চেষ্টা এটা কোন ভাবেই এলাকার লোকজন মেনে নেবে না।
সরকার বাড়ি মহল্লাবাসীর দাবি,জোহর এবং আসরে দুই কাতার মুসল্লী হয়না। কেন আরেকটি মসজিদ নির্মাণের দরকার। এখানে আরেকটি মসজিদের প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা তদন্তের মাধ্যমে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। বাধাঁ সত্বেও মসজিদ নির্মাণ করলে এলাকার মুসল্লীরা এর কঠোর প্রতিবাদ করবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এ বিষয়ে আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাকির হোসেন এর কাছে ফোনে জানতে চাইলে, ‘তিনি এ বিষয়ে জানেন না বলে জানান।এলাকায় গেলে বলতে পারবো।
এই বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল এর মুঠোফোনে কল দেয়া হলে তিনি জানান,নেটওয়ার্কের সমস্যার জন্য আপনার কথা বুঝতে পারছিনা বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।