ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডে চাকরিতে বৈষম্যের অভিযোগ এনে চাকরি প্রত্যাশীরা আন্দোলন করছে। এতে রপ্তানিমুখী শিল্প অঞ্চল ইপিজেডের মূল ফটক বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে ইপিজেডের যাতায়াত কার্যক্রম বন্ধ আছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
রবিবার (১১ আগস্ট) সকাল থেকে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত শিমরাইল-আদমজী-চাষাঢ়া সড়কের আদমজী ইপিজেডের ফটকের সামনে আন্দোলন করে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় ৪০০-এর মতো চাকরি প্রত্যাশী মানুষ একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ করছেন। তাদের অভিযোগ চাকরির ক্ষেত্রে ছেলেদের অবমূল্যায়ন করা হয় আর মেয়েদের চাকরি দেওয়া হয়। এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
আজ কয়েকজন ছেলে চাকরির জন্যে ইপিজেড প্রবেশ করলে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তাদের।
রক্তাক্ত অবস্থায় একজন যুবকের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ‘আজ চাকরির জন্যে তারা ৫ জন ইপিজেডের ভেতরে প্রবেশ করেন। পরবর্তীতে তারা ই-স্টার নামক ফ্যাক্টরিতে গেলে তাদের আটকানো হয় এবং নিজেদের ছাত্র পরিচয় দিলেই তাদেরকে মারধর করা হয়। আমরা যখন ছাত্রদের পরিচয় দেই এতে আরও বেশি ক্ষিপ্ত হন হামলাকারীরা।
’আপনারা মিছিল নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেছেন কিনা? এমন প্রশ্নে ওই যুবক বলেন, ‘আমরা চাকরির জন্যে মিছিল করেছি।’
যুবকদের ওপর হামলা সত্যতা জানতে আদমজী ইপিজেডস্থ ই-স্টার নামক ফ্যাক্টরির একাউন্টস অফিসার দীপঙ্করের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা কারো ওপর হামলা করিনি বরং আন্দোলনকারীরা আমাদের ফ্যাক্টরির ওপর হামলা চালিয়ে গ্লাসসহ বিভিন্ন কিছু ভাঙচুর করেছে। আমাদের ফ্যাক্টরির ক্ষতি হয়েছে অনেক।’
এ বিষয়ে আদমজী ইপিজেডের (জিএম) মাহবুব আহমেদ সিদ্দিক জানান, আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করা হয়নি তারা উল্টো ভেতরে প্রবেশ করে কয়েকটি ফ্যাক্টরিতে ইট-পাটকেল মেরেছে। এরপর ফ্যাক্টরির কর্মকর্তারা তাদের আটকানো চেষ্টা করেন।
চাকরির ক্ষেত্রে ছেলেদের অবমূল্যায়নের প্রশ্নে তিনি জানান, এখানকার বেশিরভাগ কারখানায় মেয়ের কাজ বেশি হয়ে থাকে, এজন্য মেয়েদের সংখ্যা বেশি। তবে আমি নিজেও তাদের বুঝিয়েছি, বলেছি আমরা আলোচনা করে সমাধান করা হবে।