ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা পুলিশ শেলিনা আক্তার (৫৫) নামে এক গৃহিণীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে। রবিবার (৬ অক্টোবর) নিজ বাড়ি তিন গাঁ কুশিয়ারা ব্রিজ সংলগ্ন বালুর মাঠ এলাকা থেকে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে।
নিহত শেলিনা আক্তারের স্বামী মোঃ রবিউল এর দুটি বাড়ির মধ্যে একটি বন্দরের তিন গাঁ অপরটি একই এলাকার নবীগঞ্জ রেললাইন কাজী বাড়ি। গত বৃহস্পতিবার ৩ অক্টোবর রাতে নবীগঞ্জ রেললাইন এর বাড়ি থেকে ঘরের কাজকর্ম শেষ করে বেরিয়ে পরে শেলিনা। পরের দিন ৪ অক্টোবর শুক্রবার সকালে মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে শেলিনা আক্তার কে খুজতে বের হলে ছেলেরা। নতুন বাড়ি তিন গাঁ কুশিয়ারা আসলে বাহিরের গেইট তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখে ফিরে যায়। তিন দিন খোজাখুজির এক পর্যায়ে রবিবার ( অক্টোবর) আবার নতুন বাড়ি তিন গাঁ কুশিয়ারা ব্রিজ সংলগ্ন বালুর মাঠ এলাকায় আসে এবং গেইট তালা দেখে শেলিনা আক্তার এর বড় ছেলের স্ত্রী ফাতেমা উঁকি দিয়ে দেখে ভেতরের ঘরের দরজা খোলা। তারপর হাতুড়ি দিয়ে গেইটের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করলে শেলিনার অর্ধগলিত দুর্গন্ধময় পোড়া লাশ দেখতে পায়।
এব্যাপারে বন্দর থানার সাব-ইন্সপেক্টর সিরাজুল বলেন,আমরা খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে এসে মরদেহটি সম্পর্কে সিআইডি কে জানাই। পরবর্তীতে বন্দর থানা ও এসসি তরিকুল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
রবিউল এর ভাষ্যমতে নিহত শেলিনা ১৪ বছর প্রবাসে ছিলেন। তার সাথে নুরু এবং রাজা মিয়ার টাকা-পয়সার লেনদেন ছিলো। নুরুর কাছে ৫ লক্ষ টাকা পাওনা ছিল আমার স্ত্রী শেলিনা। আমার সন্দেহ পাওনা টাকা লেনদেনের কারনে এই ঘটনার সূত্রপাত। এদিকে নৃশংস ভাবে নিহত শেলিনার মেয়ের বক্তব্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তিনি বলেন ঘটনাটি পরকীয়া সংক্রান্ত হতে পারে।