প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
“আড়াইহাজারে মাদ্রাসা ছাত্র মাহবুব হত্যায়” জড়িত যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ প্রাপ্ত আসামী মোঃ সৈকত গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। মঙ্গলবার ২৯ অক্টোবর সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাংরোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সৈকত আড়াইহাজারের সেন্দীপাড়া এলাকার মো.বিল্লাল হোসেনের ছেলে।
র্যাবের এএসপি সনদ বড়–য়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, চলতি বছরের ১৭ মে দিবাগত রাত ১২টার দিকে আড়াইহাজার উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের সেন্দী গ্রামের একটি ধান ক্ষেত থেকে বস্ত্রহীন অবস্থায় মাহবুবের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত মাহাবুব ওই গ্রামের আশকর আলীর ছেলে। নিহত মাহবুব বন্দর কওমী মাদ্রাসায় পড়ালেখা করতেন। গত ১৭ মে ২০২৪ ইং তারিখ মাহাবুব কয়েকজন ‘খারাপ’ ছেলেদের সঙ্গে খেলাধুলা করলে তার বড় ভাই আবু হানিফ শাসন করেন। পরে মাহাবুব রাগ করে বাড়ি থেকে চলে যায়। রাতে ১২টার দিকে তার ভাইকে বস্ত্রহীন মৃত অবস্থায় সেন্দী ধান ক্ষেতে পাওয়া যায়। আদালতে আসামিরা স্বীকার করে যে, তাস খেলা নিয়ে সেদিন রাতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে সেই দ্বন্দ্বেই মাহাবুবকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে ধানক্ষেতে ফেলে রাখে সৈকত, শামীম ও কাউসার। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বড় ভাই আবু হানিফ বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৯(৫)২০২০, ধারাঃ-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। পরে এই মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামি মোঃ সৈকত, মোঃ কাউছার এবং শামীম’দেরকে বিরুদ্ধে পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে উক্ত রায় প্রদান করা হয়।
গত ৩১ জুলাই ২০২৪ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক এস এম এরশাদুল আলম আসামী মোঃ সৈকত, পিতা-মোঃ বিল্লাল, মোঃ কাউছার, পিতা-আব্দুল রউফ, এবং শামীম, পিতা-রুস্তম আলী, সর্বসাং-সেন্দীপাড়া, পোঃ হাইজাদী, থানা-আড়াইহাজার, জেলা-নারায়ণগঞ্জ’দেরকে একই এলাকার আশকর আলী ছেলে মাদ্রাসার ছাত্র মাহাবুব হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদ- প্রদান করেন।