ষ্টাফ রিপোর্টার:
অন্তবর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, আমাদের কথা না। এটা দেশের সাধারণ জনগণের কথা। এদেশের ছাত্র জনতা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে আপনাদেরকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। তারপরেও বিতর্কিত এই দুজনকে কেন উপদেষ্টা বানানো হলো?
মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতান্ত্রিক পরিষদের উদ্যোগে আগামীর রাষ্ট নায়ক তারেক রহমানসহ সকল নেতা কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ফারুক বলেন, বুকের তাজা রক্ত দিয়ে যে কারণে ৫ আগস্ট প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। সেটা আবার এই বিপ্লবী সরকারের কাছে দাবি জানাতে হবে কেন তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার করা হচ্ছে না। আমার মনে হয় ইতিমধ্যে দেশের জনগণ বলা শুরু করেছে এই মুহূর্তে যাকে দরকার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীর অতন্ত্র প্রহরী দেশ নায়ক তারেক রহমানকে।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের মনে রাখতে হবে গত ১৬ বছরে দেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, লুটপাট করেছে, অর্থপাচার করেছে, শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা বানিয়েছে, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে চাকরি দিয়ে বৈষম্য তৈরি করেছে শেখ হাসিনা । শেখ হাসিনা বিদেশে পালিয়ে গেলেও তার দোসরা এখনো এ দেশে অবস্থান করছে। তারা এখনো বিভিন্ন দপ্তর অধিদপ্তরে পদে বহাল আছে। তাদেরকে অপসারণ করতে হবে। তা না হলে তারা চক্রান্ত করছে। তারা আরো বিস্তরভাবে চক্রান্ত শুরু করবে।
অন্তবর্তী কালীন সরকারের উদ্দেশ্যে সাবেক এই চিপ হুইপ আরো বলেন, গত ২ দিন আগে যে দুজন উপদেষ্টাকে শপথ করানো হলো। এদেশের ছাত্র জনতা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে আপনাদেরকে ক্ষমতায় বসিয়ে। তারপরেও বিতর্কিত এই দুজনকে কেন উপদেষ্টা বানানো হলো? যার ভাই আওয়ামী লীগের এমপি ছিলেন। যিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের খুনের আসামী। যাদের এই বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কোন ভূমিকা নেই। তাদেরকে উপদেষ্টা মন্ডলের সদস্য করে যে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। সেই বিতর্কের সাথে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা একত্বতা করেছে। এই দুজনকে উপদেষ্টা সদস্য আবু সায়েদ,মুগ্ধদের রক্তকে অবমাননা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারের ভাষা তিন মাস হয়ে গেছে এখনো কেন দেশ নায়ক তারেক রহমান এবং বিএনপি’র নেতাকর্মীদের নামে প্রায় ৪০ হাজার মামলা আছে। যারা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলন করেছে বলে তাদের নামে মামলা দিয়েছে আওয়ামী লীগ এবং পুলিশ। তাদের এই মামলা গুলো কেন প্রত্যাহার হচ্ছে না?
অন্তবর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে তারপরে সংস্কার করুন। আমরা আপনাদেরকে সমর্থন দিয়েছি। আপনাদের সাথে থাকবো। আপনাদের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র হলে রাস্তায় থাকবে দেশনায়ক তারেক রহমান ও জাতীয়তাবাদী শক্তি। তাই আসুন একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। ওই নির্বাচনের মাধ্যমে যে দল ক্ষমতায় আসবে তারাই মূল সংস্কার করবে।
গণতন্ত্র পরিষদ এর সভাপতি কামাল আহমেদ এর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, বিএনপির সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ, এনডিপির মহাসচিব মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, তাঁতীদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান, ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আলমগীর হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম রবি, সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন খোকন, সাবেক কমিশনার মীর আশরাফ আলী আজম, রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মনিসহ প্রমুখ।
আলোচনা শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ বিএনপি নেতা জাকির খানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়।