শোকবার্তায় গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের ছাত্র আবু সাঈদ শান্তিপূর্ণভাবে অহিংস প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছিল।
তখন ঠাণ্ডা মাথায় একের পর এক গুলি করে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে পুলিশ। এই নির্মম হত্যাযজ্ঞের ভিডিও বিশ্ববাসী দেখেছে।’
তিনি বলেন, ‘কোটা পদ্ধতিতে নিয়োগ পাওয়া, সরকারি দলের আনুগত্যে অন্ধ ও অনুপযুক্ত আইনশৃখলা বাহিনীর সদস্য এবং সশ্রস্ত্র ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নির্বিচারে হামলা করেছে আন্দোলনরত নিরিহ ছাত্রদের ওপর। গণমাধ্যমের একাধিক রিপোর্টে প্রকাশ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে সরকারি দলের অঙ্গসংগঠনের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা ছাত্রদের ওপর গুলি করেছে।
কিন্তু অবৈধ অস্ত্রধারীদের বাঁধা দেওয়া হয়নি বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। রাতের আধারে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নিরিহ ছাত্রীরাও রেহাই পায়নি এইসব নরপশুদের নির্যাতন থেকে।’
বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশ শ্রীলংকায় কিছু দিন আগে ব্যাপক আন্দোলন হয়েছে। সেই আন্দোলনে আইন শৃংখলা বাহিনী দরকারের বেশী শক্তি প্রয়োগ করেনি বোঝা যায়।
কেননা, শ্রীলংকায় এতবড় আন্দোলন হলো কিন্তু কোনো মায়ের কোল খালি হয়েছে বলে শুনিনি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আইনের শাসন এবং ন্যায়বিচার ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদের বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশে অন্যায়, অবিচার ও অত্যাচার ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা চালু হয়েছে। চলছে, দুষ্টের পালন আর শিষ্টের দমন। এক শ্রেণীর মানুষ এখন আইনের ঊর্ধ্বে অবস্থান করছে।
শাসক শ্রেণী আইনের প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন নিয়ন্ত্রণ করছে।’
শোকবার্তায় বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। একই সাথে নিহতদের পরিবারকে যৌক্তিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আহত ছাত্রদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের দাবি যৌক্তিক। তাদের এ যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে হবে।’